যৌতুকের জন্য স্বামীর নির্যতনের শিকার হয়ে কিশোরী আত্মহত্যা। বাগেরহাটের জেলার মোরেলগঞ্জের উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নে যৌতুক নিয়ে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে তাছলিমা (১৯)নামে এক কিশোরীর আত্মহত্যা করেন আজ সকাল আনুমানিক দশটার দিকে হোগলা পাশে ইউনিয়নের বৌলপুর গ্রামের মোঃ রফিকুল শেখে এর মেয়ে তাসলিমা আক্তার যৌতুক নিয়ে স্বামীর নির্যতনের শিকার হয়ে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা ।
এক বছর হয়েছে বিয়ের বয়স একই গ্রামের ম জহিরুল খান ও আলিম খানের ভাগিনা মোহাম্মদ মুন্না এর সঙ্গে বিবাহ হয় । স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বিবাহের পরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জিনিসের দাবিতে শারীরিক নির্যাতন করে তাসলিমা কে । বাবার বাড়িতে থাকতো তাছলিমা। এক পর্যায়ে স্বর্ণের আংটি ও মোটরসাইকেল গাড়ির দাবি জানায় মুন্না । মেয়ের বাবা মেয়ের শান্তির জন্য তা মেনে নেয়, আন্টির জন্য তার হাতের আঙ্গুলের মাপও নেয়া হয়েছে কিন্তু দেরি হওয়ায় তার উপর চলছে শারীরিক নির্যাতন। আজকে সকাল বেলা তাসলিমার বাবার বাড়ির সামনে বসে কথা কাটাকাটি হয় তাছলিমা ও মুন্নার সাথে এবং তাকে গালাগালি করে এবং তার গায়ে হাত তোলে তার স্বামী মুন্না।
নিহতের বাবা মোঃ রফিকুল ইসলাম শেখ জানান যে, তিনি সকালবেলা পার্শ্ববর্তী জেলা পিরোজপুর শহরে প্রতিদিনের ন্যায় কাজে গেছিলেন এবং তাসলিমার মা বাজারে গেছিল , বাজার থেকে এসে ওর মা তাসলিমা কে খোঁজাখুঁজি করে ডাক দিলে সারা না পাওয়ায় ও ঘরের দরজা দেওয়া থাকায় জানালা থেকে উঁকি দিয়ে দেখে এবং পরবর্তীতে জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখে তার মেয়ে ওড়না দিয়ে ঘরের ভিতরে ঘরের আরার সাথে ঝোলা অবস্থায় রয়েছে সে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার করে। চিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তী ঘর ও আশেপাশে মানুষজন ছুটে আসে । বাড়ির মহিলারা তাকে উপর থেকে নামায় আমি বাড়িতে এসে শুনি যে সকাল বেলা আমার মেয়েকে গালাগালিও করেছে এবং মারধর করেছে। নিহতের বাবা আরো জানান তার জামাইয়ের (মুন্না) নির্যাতনের শিকার সইতে না পেরে তার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তাছলিমা আত্মহত্যা নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে চলছে নানা কৌতুহল।
এলাকা বাসীর বলেন যে, এরকম জানো আর কোন তাছলিমার মা কোল খালি না হয় যৌতুক বলি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার স্বীকৃতি জাতিসংঘেও : তথ্যমন্ত্রী
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মোঃ ফরিদুল ইসলাম ফরিদ,ইউপি সদস্য ও মহিষপুরা ফাড়ি ইনচার্জ মোঃ মাহমুদ ইসলাম।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তরের করা হবে পরিবারের কাছে।
আপনার মতামত লিখুন :