যাতায়াত রাস্তার কালভার্টে মুক্তেশ্বরী নদী বিলীন। যশোর শহরতলী দিয়ে বয়ে যাওয়া মুক্তেশ্বরী নদে নিজস্ব কালভার্ট বসিয়ে জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। আদদ্বীন মেডিকেল কলেজ কতৃপক্ষ এই কালভার্ট স্থাপন করে নদীর সরকারি জমিতে নিজস্ব কতৃত্ব জাহির করছেন বলে জোর অভিযোগ।
পুলেরহাট বাজারের শুরুতে মুক্তেশ্বরী নদী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়েছে। বাজার ও চাঁচড়া বাদন্দ পাড়া এলাকায় তার অস্তিত্ব বিলীন হয়েছে। নদীর দক্ষিন গাঁ ঘেষে এই অংশে ৫০০ শয্যার আদদ্বীন হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন কলেজ কতৃপক্ষ গায়ের জোরেই নদীতে এখানে নিজস্ব চলাচলের রাস্তা ও রাস্তায় লিঙ্ক কালভার্ট স্থাপন করেছেন। ফলে পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গা ঘেষে নদীটি কার্যত মৃত্যুবরণ করেছে। যশোর-বেনাপোল সড়কের পুলের হাট বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে মেডিকেল কলেজ কতৃপক্ষ তাদের জবর দখল শুরু করেছে। আর তা শেষ হয়েছে মেডিকেল কলেজের শেষ পর্যন্ত। এই সম্পুর্ন এলাকায় নদীটি সর্বোচ্চ ২০ ফুট চওড়া নেই। পুলেরহাট বাজারের শুরুতে দাড়িয়ে পূর্ব দিকে তাকালেই দৃশ্যটি সম্পূর্ন দৃষ্টিগোচর হবে। সরজমিনে দেখা যায়, কালভার্টটি এমন ভাবে স্থাপন করা হয়েছে যেন, সেটি পৌরসভার কোন ড্রেনের উপর বক্স বসানো হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এই অংশে মুক্তেশ্বরী নদ যেমন বিলীণ হয়েছে, তেমনি আদদ্বীন মেডিকেল কলেজের দুটি রাস্তা নদীর জমিতে তৈরি করা হয়েছে। এই নির্মাণেও নদীর অংশ দখল করার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। এক্ষেত্রে জবরদখলকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় সাধারন পাবলিক চুপচাপ থাকতে বাধ্য হচ্ছে। কেননা এর আগে বিরোধীতাকারীদের ঐ প্রভাবশালী মহল প্রশাসনিক হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সায়েদুর রহমান অবৈধ নদী দখল প্রসঙ্গে বলেন, মুক্তেশ্বরী নদ খননের প্রস্তাবনা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। আমরা তা পাশের অপেক্ষায় রয়েছি। তবে তার আগেই অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের কার্য্যক্রম শুরু করার প্রস্ততি নিচ্ছি। শীঘ্রই হয়তো তা শুরু হবে। আর তা হলেই মুক্তেশ্বরী নদীতে কোন অবৈধ দখলদার থাকবে না।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা
পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সায়েদুর রহমান আরো বলেন, এক্ষেত্রে ভৈরব নদের মতই প্রকল্প সাজানো হচ্ছে। মুক্তেশ্বরী নদ নিয়েও পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি সাজানো গোছানো জনবান্ধব প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। এখন অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা। এই সরকার নদী রক্ষায় আন্তরিক। আশা করছি শীঘ্রই তা অনুমোদন হবে।
[…] যাতায়াত রাস্তার কালভার্টে মুক্তেশ্ব… […]