টানা কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে হঠাৎ ভয়াবহ বন্যায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পাঁচ দিন ধরে পানিবন্দি চট্টগ্রাম নগরবাসী। বান্দরবানে পাহাড় ধসে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যর পানিতে তলিয়ে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও কক্সবাজারের চকরিয়ায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামের রাউজানে তরুণ খামারি, কক্সবাজারের চকরিয়ায় ছোট্ট শিশু ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ম্রো সম্প্রদায়ের একজন নিখোঁজ রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বান্দরবান, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায়। বেশিরভাগ অঞ্চল বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এছাড়া অতি বৃষ্টিপাতে রাঙামাটি, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড় ধস হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে খাগড়াছড়ির সঙ্গে লংগদুর। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের হাশিমপুর এলাকা ও সাতকানিয়ার কেরানিহাটসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পথের ওপর দিয়ে কোমর সমান পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল থেকে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। কার্যত মঙ্গলবার সকাল থেকেই চট্টগ্রামের সাথে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় হাজার হাজার ব্যক্তি আশ্রয়হীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। সন্ধ্যা সাতটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ অবস্থা ছিল।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় বুধবার ও বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। উনি আরও বলেন, যদি কোনো জায়গায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনো কারণে পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি না থাকে কিন্তু কেবলমাত্র ওই অঞ্চলের পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। এর আগে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরীর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
এদিকে লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী ও দুমকিতে তলিয়ে গেছে আমন-সবজি খেত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে তিন শতাধিক চাতাল কলে চাল বন্ধ রয়েছে। বরিশালের বাবুগঞ্জের রহমতপুর-মীরগঞ্জ সড়ক ও বিমানবন্দর বিলীন হওয়ার পথে। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ভেঙে গেছে কয়েকটি সড়ক। বাগেরহাটে ৭৫১০ মানুষ পানিবন্দি ও তলিয়ে গেছে ঘের। ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া ও ফেনীর মহুরি ও কহুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বগুড়ায় ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২১৩ মিলিলিটার। বানের পানিতে প্লাবিত হয় সড়ক-মহাসড়ক থেকে অনেক এলাকার ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট, পুকুর, ফসলের মাঠ। নলকূপ ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির কড়া লক্ষ্য দিয়েছে। ব্যুরো ও কর্মচারীদের পাঠানো খবর-
চট্টগ্রাম, বাঁশখালী, রাউজান, হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া : জেলার ১৫টি থানার ভিতরে সন্দ্বীপ ব্যতীত অবশিষ্ট ১৪টিই বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ৮টি উপজেলা মারাত্মকভাবে বন্যাকবলিত হয়েছে। নগরীর পরিস্থিতি কিছুটা উন্নয়ন হলেও উপজেলাগুলোর পরিস্থিতি সোমবার রাত হতে নাজুক হতে আরম্ভ করে। বাড়তে থাকে পানি। মঙ্গলবার সকাল বেলা নাগাদ বন্যার পানিতে প্লাবিত হয় সড়ক-মহাসড়ক থেকে অনেক এলাকার ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট, পুকুর, ফসলের মাঠ।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের হাশিমপুর এলাকা ও সাতকানিয়ার কেরানিহাটসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পথের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। সকাল থেকে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। কার্যত মঙ্গলবার সকাল বেলা থেকেই চট্টগ্রামের সাথে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে উদ্ধারে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের চাহিদা অনুসারে এই দুই উপজেলায় ১২০ জন করে ২৪০ জন সেনাসদস্য কাজ শুরু করেছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার পাশাপাশি তাদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণসহ আনুষঙ্গিক কাজ করবে। সাতকানিয় উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ মোতালেব সকাল থেকেই তার এলাকায় বন্যাকবলিতদের খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন, তার এলাকায় বন্যা অবস্থা ভয়াবহ। বন্যাকবলিত মানুষজনকে উদ্ধার ও তাদের আশ্রয় প্রদান তার সাথে খাদ্যের অ্যারেঞ্জমেন্ট করার জন্য গর্ভনমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে করেন। উদ্ধারকাজে সেনা মোতায়েনের অ্যারেঞ্জমেন্ট করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বড় শহর ও জেলার ৬ লাখ ৩৫ হাজার ১৩০ জন লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, সেনাবাহিনী লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া থানায় পানিবন্দি লোকজনকে উদ্ধার করা আরম্ভ করেছে। সাতকানিয়ার ১৭টি ইউনিয়নই প্লাবিত হয়েছে। লোহাগাড়ার ৬টি ইউনিয়নে জল উঠেছে। ওই জায়গা যারা পানিবন্দি অবস্থায় আছেন তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসতে সেনাবাহিনী কাজ চালু করেছে। আমার জানামতে, দুই থানার প্রত্যেকটিতে ১২০ জন করে সেনাসদস্য কাজ করছেন। লোহাগাড়া থানার আমীরাবাদ ইউনিয়নে বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন জুনায়েদুল ইসলাম জারিফ নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। রোববার রাত্রিতে ঢলের স্রোতে ভেসে যাওয়ার পর সোমবার প্রভাতকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। জারিফ লোহাগাড়া থানার আমীরবাদ ইউনিয়নের ভুট্টোর ছেলে। তিনি চন্দনাইশের বেসরকারি বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের ১ম সালের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন।
খাগড়াছড়ি : মঙ্গলবার প্রভাতে পৌর শহরের কলাবাগান, শালবন ও সবুজবাগ এলাকায় পাহাড় ধসে প্রায় ২৫টি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও দীঘিনালাসহ এইরকম ৭ উপজেলায় অন্তত এইরকম ২৫-এর বেশি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে দিনের বেলায় হওয়ায় জানমালের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রভাতে ভারি বর্ষণের কারণে আকস্মিকভাবে পাহাড়ের ধসের এ ঘটনা ঘটেছে। অব্যাহত বর্ষণের কারণে খাগড়াছড়িতে ধসে গেছে পথের মাটি।
রাঙামাটি : জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, টানা বর্ষণে জেলায় এ পর্যন্ত ১৯৮ স্থানে পাহাড়ধস ও ভাঙন হয়েছে। এতে ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতি হয়েছে ১৪টি। বিদ্যুতের খম্বা হেলে পড়েছে ১৬টি। বাড়িঘর ক্ষতি হয়েছে ৩৮১টি-যার ভিতরে আশ্রয়ণের ঘর রয়েছে ১০টি। আহত হয়েছেন ১০ জন। ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৮৩ একর। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কসহ জেলায় ৭৫টি স্থানে পাহাড় ধসে পথের লস হয়েছে। উদ্ভূত সিচুয়েশনে ৯টি স্থানে সাময়িকভাবে সড়ক যোগাযোগ অফ রাখা হয়েছে। কড়া স্রোতে রাঙামাটি-বান্দরবান পথের চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কবে নাগাদ শুরু হবে তা শিওর নয় বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা। এছাড়াও পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা লোকজনের জন্য জেলায় মোট আশ্রয়কেন্দ্র উন্মুক্ত করা হয়ে গিয়েছে ২৩৪টি। এসব কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন ঝুঁকিতে থাকা ও গরিব লোকজন।
কক্সবাজার ও চকরিয়া : গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার সব নদী-খালের পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জেলার ৭টি থানার অন্তুত ৬০টি ইউনিয়নের ৩ লাখ ব্যক্তি পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানির কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ভেঙে গেছে কতিপয় কালভার্ট। জেলায় প্রায় দেড়শ কিলোমিটার কাঁচা ও পাকা পথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। বন্যা পরিস্থিতির ধ্বংস হওয়ায় সবচেয়ে বহু মানুষ পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চকরিয়া, পেকুয়া, রামু, সদর ও ঈদগাঁও থানার বাসিন্দারা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজারের প্লাবিত ইউনিয়নের পরিমান ছিল ৩১টি, যা মঙ্গলবার এসে দাঁড়িয়েছে ৬০টি ইউনিয়নে। জেলায় সবচেয়ে অধিক প্লাবিত এরিয়া চকরিয়া ও পেকুয়া, কুতুবদিয়ায় এবং ঈদগাঁওতে।
বান্দরবান : পানিতে ভেসে নাইক্ষ্যংছড়িতে ম্রো সম্প্রদায়ের ১ জন ও টংকাবর্তীতে ১ জন নিখোঁজ রয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ছাত্রাবাস থেকে ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। দুর্যোগ অবস্থা মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিদ্যুতের সাবস্টেশনগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ৩ দিন। আজ মঙ্গলবারও অবিরাম বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে জেলার সাতটি উপজেলায়। বন্যার জল কিছুটা কমতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনো কয়েক লক্ষাধিক পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। পাহাড় ধসে কালাঘাটা গুদারপাড় এলাকায় পাহাড় ধসে মা-মেয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন-নূর নাহার (৪২) ও সাবুকননেছা (১৪)। অপরপক্ষে নাইক্ষ্যংছড়িতে পানিতে ভেসে ম্রো সম্প্রদায়ের ১ জন নিখোঁজ রয়েছে।
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) : রায়পুরের জবাব চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী, উত্তর চরআবাবিল ও দক্ষিণ চরআবাবিল ইউনিয়নের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। মেঘনা উপকূলে বেঁড়িবাধ থাকালেও জোয়ারের দরিয়া তীরবর্তী ইউপিগুলোর বাসিন্দাদের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।
আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : আশুগঞ্জে তিন শতাধিক চাতালকলে চাল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রায় ছয় হতে সাত হাজার চাতাল কর্মচারী কোনো কাজ করার জন্য না পারায় মজুরি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
রাঙ্গাবালী ও দুমকি (পটুয়াখালী) : রাঙ্গাবালী থানার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের তিল্লা, নয়াভাঙ্গুনি, সাজির হাওলা, কোড়ালিয়া ও চরইমরাশন ঘুরে নোটিশ গেছে, টানা বৃষ্টিতে তলিয়েছে আমন ও আউশের ছড়ানো মাঠ।
বাবুগঞ্জ (বরিশাল) : জোয়ারের পানি কমতে থাকায় ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উৎকণ্ঠায় নির্ঘুম দিন কাটাচ্ছে নদীপারের মানুষ। উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামের শতাধিক ফেমেলি সুগন্ধার ভাঙন আতঙ্কে রাত লঙ্ঘন করছে। থানার জনগুরুত্বপূর্ণ রহমতপুর-মীরগঞ্জ সড়কসহ ক্ষুদ্রকাঠি গ্রাম ও বাবুগঞ্জ বাজার সুগন্ধা নদীর ভাঙনের আশঙ্কায়।
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) : ফরিদগঞ্জ উপজেলার নিুাঞ্চলে জলাবদ্ধতা প্রস্তুত হয়েছে। বীজতলায় পানি জমেছে। কয়েকটি রাস্তার পাশে থাকা উদ্ভিদ উপড়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে সড়ক।
বাগেরহাট : বাগেরহাট শহরের বেশির ভাগ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় ১৯০ মিলিমিটার রেকর্ড করেছে মোংলা আবহওয়া অফিস। জেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৭৫১০টি পরিবার। তলিয়ে গেছে ১৫৮০টি মাছের ঘের।
বগুড়া : বগুড়ায় মঙ্গলবার সকাল বেলা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ২১৩ মিলিমিটার প্রবল বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়া দফতর বলছে, মৌসুমি বাতাসের ইফেক্ট ও নিুচাপের কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। যা আরও ২-৩ দিন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির হিসাব কম হবে।
ঝালকাঠি : কাঁঠালিয়া থানার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের ঢালির খালের বাঁধ ভেঙে নিউ করে ১১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মৌসুমি হাওয়ার ইফেক্টে গত পাঁচ দিন ধরে টানা বৃষ্টি আর জেয়ারের পানিতে জেলার কমপক্ষে ২০টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। অস্বাভাবিক জোয়ারে পানির স্রোতে আর ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙে যাচ্ছে কাঁচা রাস্তাঘাট।
ফেনী : মুহুরী নদীর ফুলগাজী ও পরশুরামের তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে অন্তুত ২০টি গ্রাম।
আপনার মতামত লিখুন :