ফেনীর সোনাগাজীতে বাগানের পাতা কুড়ানোকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার একপর্যায়ে কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করে বড় ভাই ইব্রাহিম খলিলকে (৩৯) খুন করেছিলেন ছোট ভাই মো. মোশারফ হোসেন ওরফে সবুজ (৩৭)।
১০ মার্চ ইব্রাহিমকে মাথায় আঘাতের পর ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঘটনার পরপরই সোনাগাজী থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় চলে যান মোশারফ। সেখানে একটি ইটভাটায় কাজও নেন। তবে পালিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হয়নি। সোনাগাজীর পুলিশ আজ সোমবার সকালে তাঁকে সাতকানিয়ার কেরানীহাটের একটি ইটভাটা থেকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুনঃ সোনাগাজীতে বখাটের চুরিকাঘাতে এতিম যুবক খুন
নিহত ইব্রাহিম খলিল ও তাঁর হত্যায় অভিযুক্ত মোশারফ হোসেন উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চর চান্দিয়া এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
প্রসঙ্গত, ৯ মার্চ বিকেলে উপজেলার পশ্চিম চর চান্দিয়ায় বাড়ির পাশের একটি বাগানে গাছ থেকে ঝরে পড়া পাতা কুড়ানোকে কেন্দ্র করে ইব্রাহিম খলিলের সঙ্গে তাঁর ভাই মোশারফের কথা-কাটাকাটি হয়। পরদিন আবারও একই বাগানে পাতা কুড়ানোকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার একপর্যায়ে মোশারফ হোসেন ও তাঁর স্ত্রী সুলাতানা আক্তার ইব্রাহিম খলিলকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ইব্রাহিম খলিলকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল নেন। সেখান থেকে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুনঃ ফেনীতে কনস্টেবল পদে পুলিশে চাকরি পেল ৩৬ জন
এ ঘটনায় ১৫ মার্চ শুক্রবার রাতে নিহত ব্যক্তির স্ত্রী নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে দেবর মোশারফ হোসেন ও তাঁর স্ত্রী সুলতানা আক্তারকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুদীপ রায় পলাশ আসামী গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :