বন্যায় ফুলগাজী ও পরশুরামের ৭০টি গ্রাম প্লাবিত, দুর্ভোগ চরমে,যান চলাচল বন্ধ। ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় দেড়মাসের ব্যবধানে তৃতীয় দফায় বন্যার পানিতে ডুবছে জনপদ। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭টি ভাঙন অংশে পানি প্রবেশ করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট সহ পুকুরের মাছ। উপজেলার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়কে পানি থাকায় বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যোগাযোগ। এসব উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে হাটু পরিমাণ পানি।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২ আগস্ট মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭টি অংশে ভাঙনের দেখা দিয়েছিল। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে সোমবার দুপুর থেকে আবারও ভাঙন স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এতে পরশুরাম উপজেলার পশ্চিম অলকার মাস্টারবাড়ি সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধের ভাঙন অংশ, মির্জানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাউতলি কাশিনগর ও চম্পকনগর এলাকায় বাঁধের দুইটি অংশ, চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালধর জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন, দক্ষিণ শালধর, কহুয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের টেটেশ্বর ও সাতকুচিয়া এলাকার ভাঙন অংশ এবং পশ্চিম মির্জানগর এলাকার সিলোনিয়া নদীর বাঁধের ভাঙন অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। লোকালয়ে পানি ঢুকে দুই উপজেলার অন্তত ৭০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছেন।এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন :ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা জনি
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, ২ আগস্ট মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭ অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। সেগুলো মেরামত করার আগেই গত দুইদিনের ভারি বর্ষণ ও উজানের পানিতে ভাঙন অংশ দিয়ে আবারও লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :