দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন; পোষ্টমর্টেম যশোর-৫ মনিরামপুর আসনঃকংশ ও পংশ মামায় ধরাশায়ী প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য চাঁদ
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটে পরাজিত প্রার্থী। যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলীর কাছে হেরেছেন তিনি। ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা ইয়াকুব আলী পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৪৬৮ ভোট। স্বপন ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৩২ ভোট।
সুহ্নদজন স্বপন বাবু যশোরবাসীর কাছে তিনি দাদা নামে পরাজিত। এমপি হওয়ার পর তার আসন এলাকায় যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। মনিরামপুরবাসীও মুখ ফুঁটে তা বলছেন। নৌকা মার্কায় নির্বাচন করার পর প্রশ্ন উঠেছে কেন তিনি হারলেন একেবারে নতুন একজন প্রার্থীর কাছে।
মনিরামপুরবাসী বলেছেন দাদার পাশে থাকেন কংশ ও পংশ মাম। এই মামারাই তাকে ডুবিয়েছেন। এর সাথে যোগ হয়েছে বিএনপি জামায়াতের আস্থা সঙ্কট। এর সাথে আরো যোগ হয়েছে স্বগোত্রীয় হিন্দু ভোটারদের আংশিক বিরোধিতা।
প্রথম দুবার বিএনপি-জামায়াতের ভোটার হিসাবে পরিচিতরা ভোটের মাঠে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে স্বপন ভট্টাচার্যকে বিজয়ী করলেও শেষবার তারা আর নৌকায় আস্থা পাননি। এ কারনে তারা বেশিরভাগ ভোটের মাঠে যাওয়া থেকে বিরত ছিলেন। ফলে অর্ধেক ভোটারও মাঠে আসেনি। সাড়ে তিন লাখেরও বেশি ভোটারের দেড়লাখ ভোটার মাত্র নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ যশোর-৬ কেশবপুরে বহিরাগত হটাও ঐক্যে ধরাশায়ী শাহীন চাকলাদার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি জামায়াতের নেতা-কর্মীরা অনেক মামলার আসামি হয়েছেন। এরা সরকার বিরোীধ মিটিং মিছিল নিয়ে ছিল জোর সোচ্চার। এর প্রভাবেই তারা মামলার আসামি হয়েছেন। তবে তারা মনে করেছেন, স্বপন দাদা ইচ্ছা করলে তাদের মামলা থেকে বাঁচাতে পারতেন। তিনি তা করেননি।
এই কংশ ও পংশ মামা কে সেই প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেছেন, কংশ মামা তার ভাগ্নে। আর পংশ মামা হচ্ছে কংশ মামার পরিপূরক শব্দ। উনিও তার আর এক স্বজন। এরাই তাকে জন বিমুখ করেছে। এমনকি ৭ জানুয়ারি এসব মামাকে ভোটের মাঠে কেন্দ্রে কেন্দ্রে দেখা গেছে। ভোটে এই মামাদের বেজায় প্রভাব পড়েছে।
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে ১২৮টি কেন্দ্রে ৭৯০টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হয়। পুরুষ কক্ষ ৩৭৯টি। মহিলা কক্ষ ৪১১টি। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯৭৩ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৪৮ জন। মহিলা ভোটার ১ লাখ ৭৬ হাজার ৫২৩ জন ও হিজড়া ভোটার ২ জন।
আপনার মতামত লিখুন :