তীব্র শীতে ফুটপাতে নিম্ন আয়ের মানুষের ভিড়। গত কয়েকদিন ধরে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়াতেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
ভোর থেকে সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ায় দিনের বেলায়ও শীতের তীব্রতা বিরাজ করছে। ফলে গত কয়েকদিন ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিমাত্রায় শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ ও নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। তারা শীত নিবারণের জন্য ভিড় করছেন রাস্তার পাশের ভ্রাম্যমাণ গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েকদিন থেকেই ভারী কুয়াশা পড়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ধ্যার পর ও ভোরের দিকে এর তীব্রতা আরও বাড়ে। ভোর থেকে সূর্য না ওঠার কারণে বেলা বাড়লেও তাপমাত্রার তেমন তারতম্য ঘটে না। ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষজন। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী না হওয়ায় নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ শীত নিবারণের জন্য ভিড় করছেন রাস্তার পাশের ভ্রাম্যমাণ গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে।
গরম কাপড় কিনতে আসা মোতাহের মিয়া কালবেলাকে জানান, বেশি দাম দিয়ে গরম কাপড় কেনার তৌফিক নেই তার। তাই সে ফুটপাত থেকে গরম কাপড় কিনতে এসেছে। পুরোনো কাপড়ের দামও বেশি। নিরুপায় হয়ে পরিবারের সদস্যদের জন্য নামমাত্র কিছু গরম কাপড় কেনার চেষ্টা করছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ গরুকে মদ খাওয়াচ্ছেন জুকারবার্গ!
গরম কাপড় কিনতে আসা আরেক ক্রেতা আবু বক্কর জানান, গত কয়দিনের শীতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি। সারাদিন খেটেখুটে যে টাকা উপার্জন করেন তাতে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তার। এর ওপর শীতের কাপড় কেনা তার জন্য খুবই দুরূহ। তবু শীত সইতে না পেরে শেষমেশ ফুটপাত থেকে গরম কাপড় কিনতে এসেছেন।
ফুটপাতে গরম কাপড়ের বিক্রেতা শঙ্কর দেব বলেন, শীত বাড়ায় গত কয়েকদিন ধরে গরম কাপড়ের বিক্রি অনেক বেড়েছে। আমি প্রতিটি বাজার ও অনেক মোড়ে গরম কাপড় বিক্রি করি। এ বছর তেমন গরম কাপড় বিক্রি না হলেও এ কয়দিন বিক্রি বেড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :