বেনাপোলের মিজানুর হত্যা মামলায় আটক সাইফুলের আদালতে দায় স্বীকার। প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত বেনাপোলের রাজাপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের হত্যার কথা স্বীকার করেছেন আটক সাইফুল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শংকর কুমার বিশ্বাস এ ঘটনায় জড়িত সাইফুল মোল্যাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। সাইফুল হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে এ ঘটনায় নিতের ভাই আশানুর রহমান বাদী হয়ে ২৩ ডিসেম্বর হত্যা চেষ্টার অভিযোগে তিনজনকে আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা করেছিলেন।
জবানবন্দিতে সাইফুল মোল্লা জানিয়েছেন, বেনাপোলের গয়ড়া মৌজার ছকোর খাল পাড়ে জমি সীমানা নির্ধারণের কাচ চলছিল। উভয় জমির মলিক ও আমিন উপস্থিত ছিলেন। মিজানুর রহমান এ সময় সাইফুলের কাছে জানতে চান মেম্বারের কাছে কেন সালিশ দিয়েছেন। সাইফুল জবাব দিলে মিজানুর রহমান কোদাল নিয়ে তাকে মারতে যান। তখন সাইফুল দৌড় দিয়ে খেঁজুরগাছের কাছে রাখা গাছি দা নিয়ে আসেন। এ সময় মিজানুর রহমান তাকে লাঠি দিয়ে মারতে গেলে সাইফুল গাছি দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। পরে তিনি শুনেছেন মিজানুর মারাগেছে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গয়ড়া মৌজার ছকোর খাল পাড়ে সাহাবুদ্দিনের জমি লিচ নিয়ে চাষ করতেন মিজানুর রহমান। চলতি মৌসুমে জমির মীমানা নিয়ে পশের জমির মালিকের সাথে বিরোধের সৃষ্টি
হয় মিজানুরের। জমির মালিক সাহাবুদ্দিন আমিন এনে সাইফুলদের ডেকে ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে জমি মাপামাটি করছিলেন। এ সময় সাইফুল ও মিজানুরের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সাইফুল গাছিদা এনে মিজানুরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন।
আরও পড়ুন: ইরফান হত্যার প্রতিবাদে যশোরে মানববন্ধন
এ ঘটনায় মিজানুরের ভাই আশানুর রহমানা বাদী হয়ে সাইফুল মোল্যাসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। আহত মিজানুর রহমান চিকিৎসাধীন অস্থায় গতকাল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শংকর কুমার বিশ্বাস এ ঘটনায় সাইফুল মোল্যাকে আটক করেন। গতকাল হত্যা চেষ্টা মামলটি হত্যা মামলা ধারা সংযোজন চেয়ে আদালতে আবেদন এবং আটক সাইফুল মোল্যাকে আদালতে সোপর্দ করেন। সাইফুল হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছেন।
[…] […]