বাংলাদেশের প্রথম গ্রাফোলজি বিষয়ে গবেষণা করেছেন মানসিক সমস্যা ও সাইকোথেরাপি বিশেষজ্ঞ মোঃ মিরাজ হোসেন । তিনি এন,এল,পি প্রশিক্ষক ও লাইফ কোচ হিসেবে নিয়মিত কাউন্সেলিং প্রদান করে থাকেন।
বর্তমান সময়ে আমাদের চারপাশে মানুষের মাঝে নানা ধরনের দুঃশ্চিন্তা, মানসিক অবসাদ, আত্মহত্যা প্রবণতা, একাগ্রতা, সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগে থাকেন। এই সবকিছু ব্যাক্তি, পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় পর্যায়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। যা জাতির জন্য সুখকর নয়। এরই প্রতিকার ও প্রতিরোধ হিসেবে গ্রাফোলজি অন্ধকার থেকে আলোর দিশারী হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
আসুন নিবন্ধে জেনে নেই গ্রাফোলজির আদ্যেপান্ত:
● গ্রাফোলজি কি?গ্রাফোলজি হল একজন ব্যক্তির মনস্তাত্ত্বিক গুণাবলী বের করার জন্য হাতের লেখার অধ্যয়ন। অর্থাৎ একজনের হাতের লিখা এবং স্বাক্ষর দেখে উক্ত ব্যক্তির সকল বৈশিষ্ট্য এবং চিন্তন প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করা যায় যে মাধ্যমে তাকে গ্রাফোলজি বলে।আমাদের চিন্তা, আচরণ এবং স্বাস্থ্য সবই আমাদের মস্তিষ্কের ক্রিয়া। হাতের লিখার মধ্যে আমাদের মস্তিষ্কের প্রতিফলন হয়। অর্থাৎ, আমাদের চিন্তা, আচরণ এবং স্বাস্থ্যের প্রতিফলন হয় আমাদের হাতের লিখার উপর।ইংরেজি ভাষার উপর প্রায় ৪০০ বছর ধরে গবেষণা হওয়ায় গ্রাফোলজির বেশিরভাগ থিউরি ইংরেজি ভাষার উপর ভিত্তি করে দাঁড়ানো। যদিও বাংলাদেশে এই বছর থেকে বাংলা হাতের লেখার উপর গবেষণা শুরু করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্রাফোলজি।
● সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ”গ্রাফোলজি” নামটি এসেছে দুটি গ্রীক শব্দ ‘গ্রাফো’, যার অর্থ “লেখা” এবং ‘লোগো’, যার অর্থ “বিতর্ক” বা “তত্ত্ব” থেকে। তাই গ্রাফোলজির অর্থ হল হাতের ‘লেখার অধ্যয়ন’ বা the study of handwriting.জিন-চার্লস গিলি-মাইসানির মতে হস্তাক্ষর বিশ্লেষণের প্রথম বইটি হল ১৫৭৫ সালে জুয়ান হুয়ার্তে দে সান জুয়ানের লিখা এক্সামেন দে ইনজেনিওস প্যারা লাস সাইনসিয়াস (Examen de ingenios para las ciencias) । আমেরিকান গ্রাফোলজিতে, ১৬২২ সালের ক্যামিলো বাল্ডির ‘’Trattato come da una lettera missiva si conoscano la natura e qualità dello scrittore’’ কে প্রথম বই বলে গণ্য করা হয়।আলফ্রেড বিনেট ১৮৯৩ থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত গ্রাফোলজিতে গবেষণা পরিচালনা করতে দৃঢ়প্রত্যয়ী ছিলেন। গ্রাফোলজিস্টদের দ্বারা তার ফলাফল প্রত্যাখ্যান সত্ত্বেও তিনি এটিকে “ভবিষ্যতের বিজ্ঞান” বলে অভিহিত করেন।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর, ইউরোপের পাশাপাশি গ্রাফোলজির প্রতি আগ্রহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ছড়িয়ে পড়ে। ১৯২৯ সালে মিল্টন বাঙ্কার গ্রাফোঅ্যানালাইসিস শেখানোর জন্য আমেরিকান গ্রাফো অ্যানালাইসিস সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।
● গ্রাফোলজির সাহায্যে কীভাবে হাতের লিখা বিশ্লেষণ করা যায়?গ্রাফোলজি একটি বৈজ্ঞানিক ও গবেষনাধর্মী বিষয়। বিভিন্ন ক্যাটাগরির লোকদের থেকে হাতের লেখা নিয়ে কোন মিল আছে কিনা সেটি দেখা হয়েছে । অবাক করা বিষয় হচ্ছে প্রত্যেক শ্রেণীর লোকদের হাতের লেখায় গঠনগত একটা মিল আছে। যেমনঃ যারা খুব বাচাল তাদের হাতের লেখার a,o এর মুখ খোলা থাকে। গ্রাফোলজিতে হাতের লিখার কিছু দিক লক্ষ্য করা হয়। যেমনঃ Margin, Baseline, Slant, Size, Pastocity, Connection, Spacing, Zones, Pressure, Speed, Individual Letters, Signature ইত্যাদি। এই জিনিসগুলো একজনের হাতের লিখায় দেখে তার সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়।উদাহরণস্বরূপ d-loop এর কথা ধরা যাক।
ইংরেজি d বর্ণের উপরের গোলাকৃতি অংশকে d-loop বলে। যার হাতের লিখার d-loop যতো বেশি পরিমাণে থাকে সে ততো পরিমাণে আত্মসমালোচনা গ্রহন করতে অক্ষম হয়।এভাবে হাতের লিখা দেখে একজনের ভবিষ্যতের ঝুঁকি নেবার ক্ষমতা, পরিকল্পনার ক্ষমতা, বন্ধুত্বের মনোভাব, বিরক্তি মনোভাব, শৈশবকাল কি রকম ছিল, কতটা ধৈর্যশীল/ অধৈর্যশীল, মিথ্যা বলার প্রবণতা, জীবনের লক্ষ্য কি পর্যায়ে ঠিক করেছে, পিতা-মাতার সাথে সম্পর্ক, সম্পর্কের ক্ষেত্রে সক্ষম/অক্ষম, চাহিদা, আত্মসম্মান, চিন্তার গতি, চিন্তার সংযোগ, মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানা যায়।কোথায় গ্রাফোলজি ব্যবহার করা হয়?উন্নত বিশ্বে গ্রাফোলজির ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রেই করা হচ্ছে। যেসব ক্ষেত্রে গ্রাফোলজি ব্যবহার করা হয়, তা হল-
১. কর্মচারী নিয়োগঃ কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্বাচিত ব্যক্তির হাতের লিখা দেখে তার চিন্তাধারার গতি, ঝুঁকি নেবার ক্ষমতা, বিশ্বস্ততা ইত্যাদি জানা যায়। তখন বুঝা যায় যে উক্ত ব্যক্তি কাজের জন্য যোগ্য কিনা।
২. মানসিক স্বাস্থ্যঃ হাতের লিখা দেখে অনেক সময় ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা যায়। হাতের লিখার Baseline দেখে বুঝা যায় কেউ ডিপ্রেশনে ভুগছে কিনা। সে নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করছে কিনা; চেষ্টায় সফল হচ্ছে নাকি বিফল হচ্ছে ইত্যাদি। কারো আত্মহত্যার প্রবণতা থাকলে বা নিজের ক্ষতি করার প্রবণতা থাকলে তা হাতের লিখা বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা যায়।
৩. নিজেকে বা অন্যকে জানাঃ যেহেতু হাতের লিখা একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব, আচরণ এবং চিন্তন প্রক্রিয়ার প্রতিফলন করে। অনেকেই নিজের এবং অন্যের হাতের লিখা ও স্বাক্ষরের বিশ্লেষণ জানতে চায়। বিশ্লেষণ শুনার দ্বারা তারা নিজেদের ব্যপারে বা অন্যের ব্যপারে অবগত হতে পারে। নিজের কোন ত্রুটি থাকলে তা শুধরানোর চেষ্টা করতে পারে।
৪. সম্পর্কঃ লেখকের সাথে বাবা-মার সম্পর্কের ব্যাপারে জানা যায় হাতের লিখা দেখে। তাছাড়া বৈবাহিক সম্পর্কের যাওয়ার আগে সঙ্গীর সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায় হাতের লিখা বিশ্লেষণের মাধ্যমে।
৫. ফরেনসিক গ্রাফোলজিঃ বিভিন্ন ফরেনসিক ডকুমেন্ট বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে গ্রাফোলজি ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। যেমনঃ অজ্ঞাত মানুষ এর হাতের লেখা দেখে সেই ব্যক্তির আচরণ সম্পর্কে জানা, দলিল এর স্বাক্ষর এর আসল ও নকল সই যাচাই করা, একটি হাতের লেখার সাথে অন্য হাতের লেখার সাদৃশ্য/ বৈসাদৃশ্য বের করা, চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে নকল পরীক্ষার্থী সনাক্ত করা,হাতের লিখা পরিবর্তন করে কোন হুমকিমুলক চিঠি দিলে সেই ব্যক্তির আচরণ সম্পর্কে জানা যায় ইত্যাদি।
৬. স্বাক্ষর এবং হাতের লেখা যাচাইকরণঃ ফরেনসিক কাজে হাতের লিখা বিশ্লেষণ করা হয়। এতে একটি বিকৃত বা সন্দেহজনক হাতের লিখার সাথে প্রকৃত হাতের লিখার মিল বা অমিল বিশ্লেষণ করা হয়। জায়গা জমির কাগজে সিগনেচার আসল নাকি নকল সেটি বের করা যায়।
● বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্রাফোলজিঃ বাংলাদেশ ইন্সিটিউট অব গ্রাফোলজির যাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালে,৫ ডিসেম্বর । এটি বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে গ্রাফোলজি শেখানো হয়। করোনা সময়ে যাত্রা শুরু হলেও এই প্রতিষ্ঠানের কাজ ঠিকই এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান পর্যন্ত ১৫ জন গ্রাফোলোজিস্ট তৈরি করতে পেরেছে।
তাছাড়াও গ্রাফোলোজি কোর্সের পাশাপাশি একাধিক ট্রেনিং, ওয়ার্কশপ, ফেসবুক লাইভের আয়োজন করে যাচ্ছে। বর্তমানে অনলাইনের পাশাপাশি সরাসরি অফিসে কার্যক্রম চালু হচ্ছে।বাংলা গ্রাফোলোজি নিয়ে বাংলাদেশ ইন্সিটিউট অব গ্রাফোলোজিতে কিছু গবেষণার কাজ চলছে। এই গবেষণা পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানের গ্রাফোলোজিস্টরা।বাংলাদেশের প্রথম গ্রাফোলজিস্ট এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্রাফোলজি এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক,মোঃ মিরাজ হোসেন( ক্লিনিকাল এন্ড কাউন্সিলিং সাইকোলোজিস্ট) গ্রাফোলজি প্রসারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা যেসব ক্ষেত্রে গ্রাফোলোজির ব্যবহার করতে পারে সেটি নিন্মে দেওয়া হলঃ
১. অপরাধী বা ভিকটিম নিজের সম্পর্কে বা নিজের আচরণ নিয়ে যা বলছে সেটির সত্যতা হাতের লেখা দেখে জানা যাবে।
২. অনেক মানুষ এর মধ্যে কার অপরাধ করার সম্ভাবনা বেশি সেটি জানা যাবে। যেমনঃ যাদের হাতের লেখায় “a” এর ভিতর দুইটি লুফ থাকে তারা মিথ্যাবাদী।
৩. হাতে লিখিত চিঠি দিয়ে হুমকি দিলে বুঝতে পারা যাবে সেই ব্যক্তি কত হিংস্র। যেমনঃ অপরাধীদের হাতের লেখায় সাধারণত felon claw থাকে এবং এই ব্যক্তি অন্যদের নিয়ন্ত্রণ বা কৌশলে বশে আনতে পারে।
৪. একজন এর লিখিত পরীক্ষা অন্যজন এ দিয়েছে কিনা সেটি বাহির করতে গ্রাফোলজি ব্যবহার করা যায়।
৫. আসল ও নকল সিগনেচার বাহির করা বা জাল ডকুমেন্টস বাহির করা।
৬. কোন ব্যক্তির জন্য কোন ধরনের চাকরি বা কাজ দেওয়া যাবে নাকি যাবে না সেটি বাহির করা যায়।যেমনঃ যাদের লেখায় t,h,l,d,f এর উপরের অংশ এ বেশি গোল থাকে তাদের মাথায় অনেক পরিকল্পনা থাকে।
৭. অপরাধীর পুরনো হাতের লেখা দেখে বাহির করা কেন সেই অপরাধ জগতে এসেছে। যেমনঃ যাদের হাতের লেখায় অনেক কোণাকুণি আকৃতির বর্ণ বেশি পাওয়া যায় তারা আচরণগতভাবে রাগী মানুষ।
৮. অপরাধী কোন তথ্য দিতে না চাইলে বা লুকোচুরি করলে, তার হাতের লেখা দেখে investigation করা এবং সেই তথ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়া।
৯. আত্মহত্যা নাকি হত্যা সেটি বাহির করা হাতের লেখা বিশ্লেষণ ব্যবহৃত হয়। যারা আত্মহত্যা করে তাদের লেখাগুলোতে কিছু বিষয় দেখা যায় যেমনঃ হাতের লিখা নিচের দিকে নেমে যাওয়া, নিজের নামের সিগনেচার এর মধ্যক্ষানে কেটে দেওয়া, হঠাৎ করে লেখা বড় বা ছোট হয়ে যাওয়া, লেখাগুলো কিছুটা বামদিকে বা ডানবামের দিকে করে লিখে,অনেক চাপ দিয়ে লিখে, লেখায় অনেক কাটাকাটি করে, যেই ব্যক্তির সাথে কোন খারাপ বা কষ্টের বিষয় সম্পর্কৃত তার নাম লিখার সময় সমানতালে না লিখে কিছুটা নিচে লিখে ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
কিছুদিন আগে আত্মহত্যা করা দুইজন মেয়ের হাতের লেখা নিন্মে দেওয়া হল, যেটি দেখে বুঝতে পারা যায় তাদের আত্মহত্যার সময় তাদের আবেগের অবস্থা কেমন ছিলঃ১ম চিঠির মেয়েটি ব্যক্তিগত ভাবে আশাবাদী ( optimistic) ছিল, প্রথমদিকের হাতের লেখার লাইনগুলো উপরে উঠে যাচ্ছে। রনি নামে ছেলেটিকে ভালোবাসাতো তাই তার নামটা লিখার সময় উপরের দিকে উঠছে।হাতের লেখায় বেশি কাটাকাটি অর্থাৎ তার নিজের প্রতি বিরক্তিভাব দেখা যাচ্ছে। শব্দ ও লাইলগুলো প্রায় এলোমেলো,মানে সেই জীবনের লক্ষ্য ও উদেশ্যের ব্যাপারে স্থির ছিলো না। শব্দের শেষে বর্ধিত দাগ (ending Strokes) পাওয়া যায়, যেটি ব্যাখ্যা করে মেয়েটির চাহিদা ও প্রত্যাশা বেশি ছিল।
২য় চিঠিতে তামিম নামে ছেলেটি ধর্ষণ করেছে তাই তার নাম লেখার সময় নিচের দিকে নেমে যায়। এই ছাড়া পেইজ এর ডান দিকে অনেক খালি রেখেছে অর্থাৎ সেই ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয়ে ছিল। নিজের নামেও overwriting বা বারবার দাগ দেওয়া আছে, তার নিজের প্রতি বিরক্তিভাব আছে। হাতের লেখা অনেক চাপ দিয়ে লিখে অর্থাৎ তার আবেগ এর মাত্রা অনেক বেশি ছিল। অক্ষরগুলোর সাইজ ছোট থেকে বড় হচ্ছে, মানে তার মধ্যে দ্বিধান্বিত/ সিধান্তহীনতা ছিল।
নিবন্ধ লেখক:
মোঃ মিরাজ হোসেন।
বি,এসে,সি ( মনোবিজ্ঞান, জবি ), পি,জি,টি ( সাইকোথেরাপি, পিজি হাসপাতাল ) , এম, এস,সি ( চিকিৎসা ও কাউন্সেলিং মনোবিজ্ঞান, জবি ) , ডিপ্লোমা ( প্রাক্টিক্যাল কাউন্সেলিং টেকনিক, ভারত )।
প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক:
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্রাফোলজি
চেম্বার: আলোকিত ইনসান ইসলামিক মাদকাসক্তি নিরাময় ও পরামর্শ কেন্দ্র
৮০/এ ( ৯ম তলা ), শাহজালাল কমপ্লেক্সে, সিআইডি অফিসের বিপরীতে, মালিবাগ মোড়,ঢাকা-১২১৭
মোবাইল: ০১৫২১-৩১৮১২৫, ০১৯১৫-৬৪০২৬০
আপনার মতামত লিখুন :