বালু নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিমসহ তিনজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।শনিবার (১৫ অক্টোবর) মেয়রের সহযোগী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুল হক রিপনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে এ মামলায় পুলিশ শনিবার সকালে উপজেলার সোনাপুর এলাকা থেকে মো. শাকিল (১৯) ও নুরুল আলম (৪০) নামের দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
এর আগে গত শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে সোনাগাজীর মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় ফেনী নদীতে চট্টগ্রামে মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম ওরফে খোকনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনিসহ তার সঙ্গে থাকা অশোক সেন ও সাঈদ খান নামে মেয়রের দুই সহযোগীও গুলিবিদ্ধ হন। রেজাউল করিম বারইয়াহাট পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মিরসরাইয়ের করেরহাট ইউনিয়নে স্থাপিত একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জায়গা ভরাট করতে মেয়র রেজাউল ফেনী নদী থেকে খননযন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করছিলেন। কয়েক দিন ধরে সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুল হকের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন বালু তুলতে বাধা দিয়ে আসছেন। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে শ্রমিকদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিলেন।
বিষয়টি জানার পর মেয়র নিজেই সরেজমিনে দেখতে যান। এ সময় মজিবুল হকের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২২ জন তাদের ওপর হামলা করেন। এ সময় তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মেয়র রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগ নেতা অশোক সেন, যুবলীগ নেতা সাঈদ খানসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
তবে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন মজিবুল হক। তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি এলাকায় ছিলেন না। ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় ছিলেন। এরপরও তাকে একটি মিথ্যা সাজানো মামলায় আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বাতিলের দাবি
মজিবুল হকের দাবি, মেয়র রেজাউল করিম তার ইজারা নেয়া জমি থেকে বালু তুলছেন। তিনি বলেন, ‘মেয়র রেজাউল করিম আমার ইজারা নেয়া এলাকায় অবৈধভাবে বালু তুলতে এলে স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া করেছেন। মেয়র স্থানীয় বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে পালানোর সময় নিজেরাই নিজেদের গুলিতে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আমার কোনো যোগসূত্র নেই।’
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :