জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামী শুভন আহমেদ ওরফে প্রেমানন্দ ক্ষত্রিয়কে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রফিকুল ইসলাম এ দণ্ডাদেশ দেন।
ঘাতক স্বামী শুভন আহমেদ ওরফে প্রেমানন্দ ক্ষত্রিয় (৪৫) ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার কাউনিয়া এলাকার মৃত শচীন্দ্র ক্ষত্রিয়ের ছেলে। তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে ভুক্তভোগী ইয়াসমিন আক্তারকে (৪০) বিয়ে করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আক্রাম হোসেন জানান, বিগত ২০২০ সালের ১ জুলাই রাতে শুভন আহমেদ তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের গায়ে পেট্রল ঢেলে জলন্ত গ্যাসের চুলার ওপর স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ইয়াসমিনের চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল এরপর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সবশেষে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
২০২০ সালের ১৩ জুলাই ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ইয়াসমিন। এ ঘটনায় দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন ইয়াসমিনের বড় বোন হাজেরা বেগম।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলেছেন।
জানা যায়, ইয়াসমিন আক্তার নেত্রকোনা জেলার সদর থানাধীন সাতপাই গ্রামের মৃত নবাব আলী ফকিরের মেয়ে। চাকরির সুবাদে তিনি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ এলাকায় ভাড়া বাসায় স্বামী ও এক পালক শিশু কন্যাকে নিয়ে বসবাস করতেন।
আপনার মতামত লিখুন :