বুধবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলাম খান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়- জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে তাদের সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলো- ইসলামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, সহ সম্পাদক মুসা আহমেদ, ইসলামপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য মুরসালিন উদ্দিন, কর্মী মো. আব্দুল কাইয়ুম, মো. জয় মামুন, গাইবান্ধা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির সরকার, চরপুটিমারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম, নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, মেলান্দহ উপজেলা ছাত্রলীগের সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী, সদস্য আশরাফুল সালেহিন রিয়াদ, মেলান্দহ পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ আহমেদ, মেলান্দহ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান সেতু, নাংলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. বরকতুল্লাহ ফারাজী, হাজরাবাড়ি পৌর শাখার অন্তর্গত ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম চৌধুরী, কুলিয়া ইউনিয়ন শাখার অন্তর্গত ২ নম্বর ওয়ার্ড শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন ইসলাম সানি, জামালপুর সদর উপজেলার (পূর্ব) শরিফপুর ইউনিয়ন শাখার অন্তর্গত ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইম কবির, বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক শোয়েব আল হাসান এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী সাংগঠনিক থানা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম মুসা।
জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ সংগঠনের নীতি, আদর্শ এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার সুযোগ নেই। নীতি আদর্শ পরিপন্থি কাজের জন্য তাদের সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পাঁচজনের বেপরোয়া দুর্নীতির সিন্ডিকেট
জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলাম খান বাবু বলেন, যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুতে যারা শোক প্রকাশ করে তারা আমার মতে নামধারী ছাত্রলীগ নেতা। ছাত্রলীগের আদর্শ তাদের মাঝে নেই। এরা ভবিষ্যতেও সংগঠনবহির্ভূত কাজে লিপ্ত হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই তাদের অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :