কত বড় শক্তিশালী সিন্ডিকেট দেখব।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খাদ্যপণ্য নিয়ে কয়েকটা হাউজ ব্যবসা করে। যখনই তারা কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ায় আমরা আমদানি করি, বিকল্প ব্যবস্থা করি। যাতে তারা বাধ্য হয় দাম কমাতে। আমরা তো সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই। কাজেই সিন্ডিকেট থাকলে তা ভাঙা যাবে না, এটা কোনো কথা নয়। কে কত বড় শক্তিশালী সিন্ডিকেট আমি জানি না, ঠিক আছে আমি দেখব এটা, কী ব্যবস্থা করা যায়। মঙ্গলবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দ্রব্যমূল্য নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যাবে না এমনটি বাণিজ্যমন্ত্রী বলে থাকলে, তাকে ধরবেন বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।
এ পর্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা গবেষণা করে নানা বীজ উদ্ভাবন করেছি। জীবনে কেউ আগে ভাবেনি, বর্ষাকালে শিম, লাউ, ফুলকপি, গাজর, টমেটো খাবে। শীতের সবজি গবেষণা করে এখন ১২ মাস উৎপাদন হচ্ছে। এগুলো সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অনেকে আমাদের তরিতরকারি কিনতে চাচ্ছে, আমরা দিচ্ছি। সুইজারল্যান্ডের সুপার মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এটাও দেখতে হবে যে, পৃথিবী তো ছোট হয়ে আসছে। কিছু জিনিস বাইরেও যাচ্ছে। যেজন্য আমি সবাইকে বলছি-নিজেরা উৎপাদন করেন। প্রত্যেকে যদি কিছু উৎপাদন করতে পারে বাজারের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। নির্ভরশীলতা কমলে সিন্ডিকেট এমনিই ভেঙে যাবে। ওদের আর কিছু করার থাকবে না। সেজন্যই বলেছি-এক ইঞ্চি জায়গাও অনাবাদি রাখবেন না। সবাই এটা করলে সিন্ডিকেট কিছু করতে পারবে না। কিছু হাউজ আছে, ওটাই করে, ধরে রেখে পচিয়ে ফেলেবে, এখন ডিম নিয়ে শুরু করেছে। ডিম সিদ্ধ করে ফ্রিজে রেখে দেবেন। অনেক দিন ভালো থাকবে। অভাব যেন না থাকে, সেটাই দেখব। সিন্ডিকেটের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেব, বিকল্প ব্যবস্থা করব। সিন্ডিকেট এভাবেই ভেঙে যাবে।
আর পড়ুন:নওগাঁয় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
অপরাধবোধ না থাকলে বিবৃতি ভিক্ষা করেন কেন : নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ৩৪ বুদ্ধিজীবীর বিবৃতি বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়ান কেন? তিনি বলেন, যারা বিবৃতি দিয়েছেন তাদের আহ্বান জানাই, বিবৃতি না দিয়ে বাংলাদেশে বিশেষজ্ঞ পাঠান, আইনজীবী পাঠান। ওখানে বসে বিবৃতি না দিয়ে তারা এক্সপার্ট পাঠাক তাদের ক্লায়েন্টের জন্য। দলিল দস্তাবেজ খতিয়ে দেখুক। দেখুক সেখানে কোনো অন্যায় আছে, না অন্যায়ভাবে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। তারাই এসে দেখুক। তাদের এসে দেখা দরকার এখানে কী কী অসামঞ্জস্য আছে। তারাই দেখে বিচার করে যাক-কোনো অপরাধ আছে কিনা। আমি মনে করি একবার পাঠালে অনেক কিছুই বের হবে। যেটা হয়তো আমরা কখনো হাতও দেইনি। নয়তো আমাদের দেশের আইন আছে, আদালত আছে। ‘ল’ উইল টেক ইটস ওন কোর্স’-এটা সাফ কথা।
দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সব কিছু আইনমতো চলে। কেউ যদি এখন ট্যাক্স না দেয়, আর যদি শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করে। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে লেবার কোর্টে যদি মামলা করা হয়-তা আমাদের কী সেই হাত আছে যে মামলা বন্ধ করে দেব? আপনারা বিচার করেন। একটা চলমান মামলা। আমাদের দেশে তো চলমান মামলা নিয়ে আলোচনাই করি না। কারণ এটা সাবজুডিস। যে বিষয়টি সাবজুডিস হিসাবে নিজের দেশে গণ্য করা হয়-সেখানে বাইরের থেকে বিবৃতি এনে মামলা প্রত্যাহারের দাবি! আমি কে মামলা প্রত্যাহার করার? এখানে আমার কোন অধিকারটা আছে বলেন? সেই পাওয়ারটা (ক্ষমতা) দিয়েছেন আমাকে? জুডিশিয়ারি তো সম্পূর্ণ স্বাধীন। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের একটি তো আরেকটিকে হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বনেতাদের বিবৃতিতে বিচার প্রভাবিত হবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আদালত প্রভাবিত হবে না। আদালত স্বাধীনভাবেই কাজ করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, লেবারদের যেটা পাওনা সেটা তো তাদের দিতে হবে। অল্প কিছু দিয়ে বাকিটা ঘুস দিয়ে বন্ধ করা এটা কী খুব ন্যায়ের কাজ? সততার কাজ? আমার সেটাই প্রশ্ন। এত লম্বা লম্বা, বড় বড় কথা। আর মাঝখান থেকে লেবারদের অর্থ আত্মসাৎ- চমৎকার। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও একেবারে লাফ দিয়ে পড়লেন! অন্যদিকে প্রতিদিনই আমাদের লেবার নিয়ে জর্জরিত করে দেয়। এটা হলো না, ওটা হলো না। আইএলও-এর প্রতিটি প্রটোকলে আমরা সই করেছি। যারা প্রশ্ন তোলেন তারা একটার বেশি কেউ করেনি। আর লেবার সুখে-দুঃখে তাদের পাশে থাকাটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাজনীতি।
কী চায় সে সিদ্ধান্ত জনগণকেই নিতে হবে : দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ ও মতদ্বৈধতা থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কেউ কেউ অনিশ্চিত পরিস্থিতি দেখছেন। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতের কথা কেউ বলতে পারে না। আর দেশ কীভাবে চলবে, তার সিদ্ধান্ত জনগণকেই নিতে হবে। জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চায়। তিনি বলেন, দেশে কিছু লোক থাকবেই যাদের কিছুই ভালো লাগে না। আপনারা আশা করেন কীভাবে যে সবাই এক রকম হবে এবং একসঙ্গে পথ চলবে? একটি দল আছে, তারা দেশ চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের তো মনোবেদনা থাকবেই। তাদের কাছে তো সবকিছুই খারাপ লাগবে।
সর্বজনীন পেনশন নিয়ে অপপ্রচারে কান দেবেন না : সর্বজনীন পেনশন নিয়ে অপপ্রচারকারীদের ‘অর্বাচীন’ আখ্যায়িত করে তাদের অপপ্রচারে কান না দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যারা পরশ্রীকাতরতায় ভোগে, যারা সব সময় হতাশায় ভোগে, যারা নিজেরা কিছু করতে পারে না, যারা সম্পূর্ণ অর্বাচীন; অর্বাচীনদের এই ধরনের কথায় জনগণ যেন কান না দেয়। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করতে এসেছে, সে ভরসাটা দেশবাসীর থাকতে হবে। সর্বজনীন পেনশন নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই টাকা নিয়ে ইলেকশন ফান্ড করতে হবে, আওয়ামী লীগ তো ওইরকম দৈন্যে পড়েনি। আওয়ামী লীগ হচ্ছে নিজের খেয়ে নৌকা, জনগণ নিজের খেয়েই কিন্তু নৌকায় ভোট দেয় এবং আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে। এটিই হলো বাস্তবতা।
বৃদ্ধ বয়সে নিশ্চয়তা দিতেই সর্বজনীন পেনশন : তিনি বলেন, সরকারি অফিসাররা পেনশন পায় কিন্তু সাধারণ জনগণের জন্য কোনো পেনশন ব্যবস্থা নেই। বৃদ্ধ বয়সে তাদের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্যই এই সর্বজনীন পেনশনের কথাটা আমরা বলেছি। আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারে এটা ঘোষণা ছিল, যা এখন কার্যকর করেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেতিবাচক কথা শুনে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয় সেই আহ্বান থাকবে জাতির কাছে। যারা নেতিবাচক কথাগুলো বলে, এ পর্যন্ত যে কয়টা কথা বলেছে সব মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। মেট্রোরেলের কথাই বলেন, রাস্তার কথাই বলেন বা ট্রেনের কথা বলেন। বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এরা আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াতে পারে। এরা জনগণকে খুন করতে পারে। হত্যা করতে পারে, গ্রেনেড মারতে পারে। দুর্নীতি করে টাকা পাচার করতে পারে-এসব কাজে তাদের পারদর্শিতা আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার এসব করতে আসেনি। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করতে এসেছে।
সদস্যপদ চাইলে পাব না সেই অবস্থাটা নেই : এখনই ব্রিকসের সদস্যপদ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সদস্যপদ চাইলে পাব না সেই অবস্থাটা নেই। তবে প্রত্যেকটা কাজের একটা নিয়ম থাকে। আমরা সেই নিয়ম মেনেই চলি। আমার সঙ্গে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ হলো, আমাকে আমন্ত্রণ জানালেন ব্রিকস সম্মেলনে। আমাকে আসতে বললেন। তখন আমাকে এ-ও জানালেন তারা কিছু সদস্যপদ বাড়াবেন। সেই বিষয়ে আমার মতামতও জানতে চাইলেন। আমি বললাম এটা খুবই ভালো হবে। ব্রিকস যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন এই পাঁচটি দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ ছিল এবং এখনো আছে, সব সময়ই এটা ছিল। সেই সময় এটা নিয়ে আলোচনা হলো পর্যন্ত। ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে যোগদানের বিষয়ে বাংলাদেশ আগে থেকেই আগ্রহী ছিল উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা যখন শুনলাম নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক হবে, আমাদের ওটার ওপর বেশি আগ্রহ ছিল।
যখন থেকে তৈরি হয়, তখন থেকেই এই আগ্রহটা ছিল এর সঙ্গে যুক্ত হবো। ব্রিকসের সদস্যপদের ক্ষেত্রে তখন প্রেসিডেন্ট আমাকে বললেন ধাপে ধাপে নেবেন। ভৌগোলিক অবস্থানটা বিবেচনা করে নেবেন। পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে তারা সদস্য সংখ্যা বাড়াবেন।
কাউকে বলতে যাইনি আমাদের এখনই সদস্য করেন : শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের নিলে আমরা খুব খুশি। তবে ব্রিকসের এখনই সদস্যপদ পাব, প্রথমবারে গিয়েই সদস্যপদ পাব, সেই ধরনের কোনো চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল না। সেই ধরনের চেষ্টাও আমরা করিনি। সেভাবে কাউকে বলিওনি। সেখানে সব রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট, ভারতের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবার সঙ্গে। আমরা কাউকে বলতে যাইনি আমাকে এখনই সদস্য করেন। তখন থেকে আমরা জানি যে প্রথমে কয়েকজনকে নেবে। লাঞ্চের সময় ব্রাজিল ও সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট এবং নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়। ওই সময়ই কথা হয় তারা এই কয়জন নেবে। এরপর ধাপে ধাপে তারা সদস্যপদ বাড়াবে।
ব্রিকস নিয়ে বিরোধী দলের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি যে এই প্রশ্নটা আসবে। আমাদের অপজিশন (বিরোধী পক্ষ) থেকে হা-হুতাশ করা হচ্ছে যে, আমরা সদস্যপদ পাইনি। বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না এটা কিন্তু ঠিক নয়। অন্তত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা দেশের মর্যাদাটা তুলে ধরেছি। সেখানে আমাদের সেই সুযোগটা আছে। তারা (বিরোধী পক্ষ) বলতে পারে কারণ বিএনপির আমলে ওটাই ছিল। তাদের সময় বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের কোনো অবস্থানই ছিল না। বাংলাদেশ মানে ছিল দুর্ভিক্ষের দেশ, ঝড়ের দেশ, ভিক্ষার দেশ। হাত পেতে চলার দেশ। এখন সবাই জানে বাংলাদেশ ভিক্ষা চাওয়ার দেশ নয়। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন মাথা উঁচু করে চলে।
জনগণ অংশ নিলেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে আসবে, নির্বিঘ্নে ভোট দেবে। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে-এটিই তো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। তিনি আরও বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে সবাই কাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলেন? যারা ভোট চোর, দুর্নীতিবাজ, মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত, তারা? যারা জাতির পিতার হত্যাকারী, যারা একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত-তারা অংশ নিলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক আর অংশ না নিলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না? তা তো হতে পারে না।
শিং নাই সেই সিংহদের নিয়ে চিন্তার কী আছে : অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কয়টা নির্বাচন এ পর্যন্ত হয়ে গেল, সেখানে কি জনগণ নির্বিঘ্নে অংশগ্রহণ করতে পারেনি? হ্যাঁ, কেউ কেউ চেষ্টা করেছে সেখানে নিজেরাই গোলমাল সৃষ্টি করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। কিন্তু সফল হয়নি, যেহেতু জনগণ ভোট দিয়েছে। আর এখন দেশে জায়গা না পেয়ে বিদেশে গিয়ে কার শিং গজাল সেটা তো আমি খোঁজ নিতে পারব না? বলে যে, সিঙ্গাপুর! কোথায় গিয়ে কার শিং গজাল সেটা আমি দেখব কোথা থেকে বলেন? তারা বোধহয় শিং ধার করতে গেছেন, নাকি? গুঁতাটুতা মারবে, বাংলাদেশের জনগণকে ইলেকশন করতে দেবে না। ঠিক আছে এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করব। তবে ওটা নিয়ে আমি চিন্তা করি না। শিং নেই তবুও সিংহ’, ও নিয়ে চিন্তার কী আছে।
আপনার মতামত লিখুন :