দীর্ঘ সময় ধরে চলা বহুমুখী অর্থনৈতিক সংকটে সার্বিকভাবে কাবু হয়ে পড়েছে দেশ। বিরাজমান দেশীয় ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সংকটের তীব্রতা আরও বাড়ছে। ডলার সংকটের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমে যাচ্ছে।
ফলে একদিকে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। অন্যদিকে সব ধরনের নিত্যপণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সিন্ডিকেটের কারসাজি। এতে ‘পাগলা ঘোড়া’র গতিতে বাড়ছে পণ্যের দাম। রোধ করা যাচ্ছে না মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি।
মন্দায় বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় মানুষের আয় কমে যাচ্ছে। এসবের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষের। রীতিমতো হাঁসফাঁস অবস্থা তাদের।
এ প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে এই মুহূর্তের সংকটগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। এখন ১০ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে। যদিও বাজেটে বলা হয়েছে, ৬ শতাংশের কাছাকাছি মূল্যস্ফীতি ধরে রাখা হবে।
আরও একটি সংকট হলো মুদ্রা বিনিময় হার। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিচ্ছে। রিজার্ভের ক্রমাবনতি তো আছেই। মন্দায় দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও সরকারি হিসাবে এই সংখ্যা কম।
কিন্তু বিভিন্ন বেসরকারি জরিপে দেখা যায়, দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়া মানুষের হার বেড়েছে। আয়বৈষম্য একটি বড় সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে। বিবিএস’র হিসাব অনুযায়ী এখন গিনি সহগের মান (বৈষম্য নির্দেশক) দশমিক ৪৯৯ পয়েন্ট। যেটি দশমিক ৫০০ পেরোলেই উচ্চ বৈষম্যের দেশ বা বিপৎসীমার উপরে যাবে বাংলাদেশ। এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ দরকার।’
আপনার মতামত লিখুন :