চাঁদপুরে হাসপাতালের উপ পরিদর্শক ডা. বিধান চন্দ্র সরকারি ওষুধ বিক্রি করেন নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে । চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-পরিদর্শক ডা. বিধান চন্দ্র দেবনাথ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জনসেবা ফার্মেসিতে সরকারি ঔষধ বিক্রি করেন। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। কয়েক বছর ধরে তিনি এ কাজটি করে আসছেন বলে এলাকাবাসী জানান।
ঘটনার বিবরনে যানা যায়, মো. সাদ্দাম নামের এক যুবক ডা. বিধান চন্দ্র দেবনাথের কাছে পেট ব্যাথা, পাতলা পায়খানা ও আমাশয়ভাব সমস্যা নিয়ে গেলে তিনি সরকারি ঔষধ ‘মেট্রোনিডাজল’ দিয়ে ২০ টাকা নেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ।
আবার অনেকে ঠান্ডা , কাশি, জ্বর নিয়ে গেলে সরকারি প্যারাসিটামল সহ মাঝে মাঝে এ্যান্টিবায়োটিক ও দিয়ে থাকেন। গ্রাম অঞ্চলের অল্পশিক্ষিত ও মহিলাদের কাছে নিয়মিত এসব সরকারি ওষুধ দেদারসে বিক্রি করে আসছেন বহুদিন ধরে। এ থেকে এলাকাবাসীর সাথে বিনামূল্যের ঔষধ বাজার দামে বিক্রি করে ভালো মুনাফা ভোগ করছেন।
ডাক্তার বিধান চন্দ্র দেবনাথের ফার্মেসী ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বদপুর গ্রামের মালের ভাংতি এলাকায়। মো. সাদ্দাম, পিতা- সিরাজুল ইসলামও একই এলাকার বাসিন্দা। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ডা. বিধান আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, তিনি বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এ কাজটি করে আসছেন। তিনি এলাকায় প্যারাসিটামল, সেফ্রাডিন, সিফ্রোপ্লোক্সাসিন, ওমি প্রাজলসহ আরো অনেক ব্যাথানাশক ঔষধ বিক্রি করে আসছেন।
হাসপাতালের একজন কর্মচারী হয়ে দীর্ঘদিন এই অনৈতিক কাজটি করে আসছেন? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার এই বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। বাংলাদেশ সরকার গরীব মানুষদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবার এই ঔষধগুলো দিয়ে আসছেন। সরকারের এই উদ্যোগকে অসাধু কিছু মানুষের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্রগ্রামে দিনের শেষ বলে মিরাজের উইকেট, ভারতের সংগ্রহ ২৭৮/৬
এর প্রায় ২৫ মিনিট পর উনি সাংবাদিককে ফোন করে বলেন, ‘ভাই নিউজটি কইরেন না। আগামীকাল আপনি আমার সাথে দেখা কইরেন।’ সকালে তিনি বলেন, ভাই এইসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশরাফ আহমেদ চৌধুরী বলেন,‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। বিষয়টি অনৈতিক এবং বেআইনি। আমি ঢাকায় ট্রেনিংএ আছি, এসে বিষয়টি দেখছি। যদি অভিযোগটি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :