হবিগঞ্জে শনিবার বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক। এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেয়র জি কে গউছ বলেছেন, আমরা বারবারই কারাবরণ করছি। আমাদের এখন আর কারাগারের ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। মিথ্যা মামলা দিয়ে বারবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এবারো মিথ্যা মামলা দিয়ে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। হামলা করে আন্দোলন থামানো যাবে না।
অফাবৎঃরংবসবহঃ
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান জানান, হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। যারা হামলা ও ভাঙচুর করেছে; তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পুলিশ জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকাল ৫টার দিকে জেলা বিএনপি শায়েস্তানগর এলাকা থেকে মিছিল বের করে। মিছিলটি শায়েস্তানগর পয়েন্ট হয়ে ঈদগাহ রোড ঘুরে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছে। এ সময় নেতাকর্মীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পুলিশ বাধা দেয়।
একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষ বাধে। দলীয় নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। পুলিশও পালটা কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। দফায় দফায় চলে পালটাপালটি ধাওয়া ও সংঘর্ষ।
এতে সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব গুরুতর আহত হন। তাকে সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আওয়ালসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে দলটির নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের সদর থানার ওসিসহ বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের প্রতিহত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :