বোম সাইক্লোনে বিপর্যস্ত উত্তর আমেরিকা, অর্ধ শতাধিক মৃত্যু। এদিকে পাওয়ারআউটেজ ডট ইউএসের তথ্য অনুযায়ী, তুষারঝড়ের কারণে গতকাল সোমবার বিকেল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন। তুষারঝড় শুরু হওয়ার পর একপর্যায়ে এই সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত নিউইয়র্ককে কেন্দ্রীয়ভাবে সহায়তা দিতে জরুরি ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক টুইটবার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘এই ছুটির সপ্তাহের শেষে এসে যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমি হৃদয় থেকে সমবেদনা জানাচ্ছি।’
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্কের বাফেলো শহরটির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেখানকার একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, অনেক মানুষ গাড়িতে আটকে পড়েছেন। তাঁরা দুই দিনের বেশি সময় ধরে গাড়িতে আটকে রয়েছেন। কোথাও কোথাও ৯ ইঞ্চির বেশি ঘন তুষার জমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো মিলিয়ে তুষারঝড়ে মোট মৃত্যু ৫৬ ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সিনিয়র সাংবাদিক আবদুর রহমান খান আর নেই
পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে জরুরি সাহায্যসেবার গাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারছে না। গত বড়দিনে শিশুসহ একটি পরিবারকে এমন পরিস্থিতিতে উদ্ধারে ১১ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।
আবহাওয়া কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী কয়েক দিনে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে। তবে তাঁরা লোকজনকে এখনো ভ্রমণ এড়াতে পরামর্শ দিচ্ছেন। কানাডায় সবচেয়ে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে অন্টারিও ও কুইবেক প্রদেশে। অন্টারিও প্রিন্স এডওয়ার্ড কাউন্টি ও লেক অন্টারিওতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে মূল সড়ক থেকে তুষার সরাতে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
আপনার মতামত লিখুন :