প্রথম দিনেই মেট্রোরেলের স্টেশনে উৎসুক যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়। ঢাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি আর অপেক্ষা শেষে চালু হয়েছে মেট্রোরেল। আজ থেকে উন্মুক্ত করা হয়েছে জনসাধারণের জন্য। ফলে সকাল থেকেই স্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকাল ৮টায় মেট্রোরেলের এক নম্বর স্টেশন উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে যাত্রী নিয়ে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়েছে মেট্রোরেল। এ নগর পরিবহনটি চালুর প্রথম দিন সকাল থেকে স্টেশনগুলোতে ছিল যাত্রীদের উপড়েপড়া ভিড়।
সরেজমিনে সকালে আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, মেট্রোরেলে চড়তে ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন যাত্রীরা।
রাতভর অপেক্ষায় থাকা এক যাত্রী জানান, স্বপ্নের মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হতেই এতো আগে লাইনে দাঁড়িয়েছেন তিনি। মেট্রোর যাত্রী হতে ঢাকার বাইরে থেকেও এসেছে মানুষ।সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর লাইনও দীর্ঘ হতে দেখা গেছে।
অফিসগামী মেট্রো রেল যাত্রী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অধিক দর্শনার্থীর ভিড়ে অফিসগামী যাত্রীদের একটু সমস্যা তো হচ্ছেই। তবে এ ভেবে খুব ভালো লাগছে যে, মেট্রো রেল দেশে চালু হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে। তখন সময় বাঁচবে, যাত্রা হবে স্বাস্থ্যকর। ’ এর আগে বুধবার বেলা ১১টা ০৫ মিনিটে রাজধানীর উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলক উন্মোচন করে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুনঃ লালমনিরহাটে হাতীবান্ধা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশী নিহত
উদ্বোধনের পর রুটের মধ্যবর্তী স্টেশনে কোনো স্টপেজ ছাড়াই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় মেট্রোরেল। প্রথম কয়েক দিন প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে ১০ মিনিট ধরে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করবে মেট্রোরেলের ট্রেনগুলো। কারণ নগরবাসী এই নতুন পরিবহন ব্যবস্থার সাথে পরিচিত নয়।
প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ছয়টি বগিবিশিষ্ট ১০ সেট ট্রেন চলাচল করবে। আপাতত এই রুটে ধীরগতিতে ট্রেন চলবে। এ পর্যায়ে ট্রেন চলবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। পরে চলাচলের সময় বাড়ানো হবে এবং চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। সম্পূর্ণভাবে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলে প্রতি সাড়ে তিন মিনিট অন্তর একটি ট্রেন চলবে।
প্রতিটি স্টেশনে, যাত্রীদের ওঠা ও নামা সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ট্রেনটি অপেক্ষা করবে। প্রতিটি ট্রেন দু’হাজার ৩০০ জন যাত্রী নিয়ে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। তবে বাঁকযুক্ত এলাকায় গতি কম হবে।
উত্তরা থেকে মতিঝিল-কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটারের পুরো রুটটি ৪০ মিনিটেরও কম সময়ে ভ্রমণ করে মেট্রোরেল প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :