ডিএসবির এসআই এর ক্ষমতাবলে জমি দখলের চেষ্টা, নদীর জায়গায় পাঁকাঘাট নির্মাণ। তিনি ডিএসবির উপ-পরিদর্শক(এসআই) সিদ্ধার্থ সাহা। কর্মরত আছেন যশোর জেলায়। সরকারী চাকরির ক্ষমতা খাটিয়ে করছেন অন্যের জমি দখলের চেষ্টা। নদীর জায়গা দখল করে করেছেন পাঁকা ঘাটও।
বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরী গ্রামে। বাবা স্বর্গীয় ভুপেন্দ্রনাথ সাহার মেজ ছেলে তিনি। সম্প্রতি এক সাংবাদিকের অভিযোগে উঠে এসেছে জোর পূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করছেন এই এসআই ও তার বড় ভাই বুদ্ধদেব সাহা(নেপাল) ও ছোট ভাই ব্রত সাহা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলার ১৫ নং ফুলহরী ইউনিয়নের ফুলহরী গ্রামের একটি জমি যার খতিয়ার নম্বর ৭২২, মৌজার নম্বর ১৩৫, ৭৬ নম্বর দাগের জমি শৈলকুপার কবিরপুর এলাকার স্বর্গীয় গৌতম কুমার সাহার ছেলে শুভ সাহা ও গৌতম সাহার স্ত্রী শিখা রাণীর কাছ থেকে ওয়ারেশ সূত্রে ন্যয্যমূল্যে কবলা দলিল রেজিষ্ট্রি করে ক্রয় করেন শৈলকুপা পৌরসভার মধ্যপাড়া গ্রামের সাংবাদিক চঞ্চল মাহমুদ।
যার নামজারী সহ দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। হঠাৎ ই ১ মাস ধরে পাশের জমির মালিক ডিএসবির এসআই সিদ্ধার সাহার হুকুমে তার বড় ভাই বুদ্ধদেব সাহা(নেপাল)ও ছোট ভাই ব্রত সাহা ওই জমির উপর চঞ্চল মাহমুদ গেলে বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান ও জমি জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার হত্যা,মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো সহ নানারকম হুমকিও দিচ্ছেন। এই ঘটনার পর সাংবাদিক চঞ্চল মাহমুদ শৈলকুপা থানায় দু’টি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
সাংবাদিক চঞ্চল মাহমুদ জানান, ওয়ারেশ সূত্রে ন্যয্যমূল্যে কবলা দলিল রেজিষ্ট্রি করে শুভ সাহা ও গৌতম সাহার স্ত্রী শিখা রাণীর কাছ থেকে জমি ক্রয় করি।যার সমস্ত কাগজপত্র আছে আমার কাছে। এরপর থেকে জমির উপর গেলে ডিএসবির এসআই সিদ্ধার্থ সাহার হুকুমে বুদ্ধদেব সাহা (নেপাল) ছোট ভাই ব্রত সাহা সহ এলাকার বেশ কিছু মাস্তান বাহিনী অবৈধ ভাবে আমার জমির উপরে এসে বলেন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ,হত্যার হুমকি ও মিথ্যা মামলায় ভাসানোর ভয় দেখায়। এমন ঘটনার পর শৈলকুপা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।
আরও পড়ুনঃ নয়্যারই বায়ার্নের ইনজুরি সত্ত্বেও নাম্বার ওয়ান গোলরক্ষক
ফুলহরি বেড়বাড়ী গ্রামের বাসিন্দা সম্রাট হোসেন জানান, বুদ্ধদেব সাহা (নেপাল) একজন দুষ্টু প্রকৃতির মানুষ । তিনি এলাকার বিভিন্ন মানুষের জাল,ভূয়া বায়নামা করে জমি জবর দখল করে এলাকায় হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করে আসছেন।
নদীর জায়গা দখল করে পাকা ঘাট নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে শৈলকুপা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বনি আমিন বলেন, ফুলহরি গ্রামে নদীর জায়গা দখল করে ব্যক্তি স্বার্থে পাঁকাঘাট নির্মাণের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে শৈলকুপা থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক চঞ্চল মাহমুদ বাদী হয়ে দু’টি সাধারণ ডায়রি করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
[…] ডিএসবির এসআই এর ক্ষমতাবলে জমি দখলের চ… […]