বিজ্ঞপ্তি :

সাংবাদিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 2023 :- বহির্বিশ্ব সহ বাংলাদেশের সকল বিভাগ, জেলা, উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় (আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে) প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আবেদনের যোগ্যতা :- বয়স:- সর্বনিম্ন ২০ বছর হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা:- আবেদনকারীকে সর্বনিন্ম এইচএসসি পাশ হতে হবে। কমপক্ষে ১ বছরে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। (তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী হতে হবে অথবা কমপক্ষে ১ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।) অতিরিক্ত যোগ্যতা:- স্মার্ট ফোন থাকতে হবে। নিজেদের প্রকাশিত নিউজ অবশ্যই নিজে ফেসবুকে শেয়ার করতে হবে একই সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। এছাড়াও প্রতিদিন অন্তত ০৩ টি নিউজ শেয়ার করতে হবে। (বাধ্যতামূলক) অবশ্যই অফিস থেকে দেয়া এ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে। নিউজের ছবি এবং নিউজের সঙ্গে ভিডিও পাঠাতে হবে ( ছবি কপি করা যাবে না কপি করলে তা উল্লেখ করতে হবে)। বেতন ভাতা :- মাসিক বেতন ও বিজ্ঞাপনের কমিশন আলোচনা সাপেক্ষে। আবেদন করতে আপনাকে যা করতে হবে :- আমাদের ই-মেইলের ঠিকানায় ছবিসহ জীবন বৃত্তান্ত (Cv), সিভির সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র এর কপি, সর্ব্বোচ্চ শিক্ষাগত সনদ এর কপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, অভিজ্ঞতা থাকলে প্রমাণ স্বরুপ তথ্য প্রেরণ করতে হবে । মনে রাখবেন :- সিভি অবশ্যই নিজের ব্যক্তিগত মেইল থেকে পাঠাতে হবে। কারণ যে মেইল থেকে সিভি পাঠাবেন অফিস থেকে সেই মেইলেই রিপ্লাই দেওয়া হবে। ই–মেইল পাঠাতে বিষয় বস্তু অর্থাৎ Subject–এ লিখতে হবে কোন জেলা/ উপজেলা/ ক্যাম্পাস প্রতিনিধি। আমাদের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা :- Email:- bondhantv@gmail.com টেলিফোন:- +8809638788837, +8801911040586 (Whatsapp), সকাল ৯টা থেকে রাত ১১.৫৯ পর্যন্ত। আমাদের নিয়োগ পদ্ধতি :- প্রথমে আপনার কাগজ যাচাই বাছাই করা হবে। আপনি প্রাথমিক ভাবে চুড়ান্ত হলে সেটি সম্পাদকের কাছে প্রেরণ করা হবে। সর্বশেষ সম্পাদক কর্তৃক চুড়ান্ত হলে আপনার সাথে যোগাযোগ করা হবে মোবাইল এবং ইমেল এর মাধ্যমে। আপনাকে আমাদের ট্রেনিং এবং অবজারভেশন ফেসবুক গ্রুপে এড করা হবে। তারপর আপনাকে ৫ দিন নিউজ পাঠাতে বলা হবে। এর পর চুড়ান্ত নিয়োগের ১ মাসের মধ্যে আপনার কার্ড প্রেরণ করা হবে। নিউজ পাঠানোর মাধ্যম:- আমাদের মেইল আইডি, মেসেঞ্জার গ্রুপ, ইউজার আইডির মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন। নিউজ অবশ্যই ইউনিকোড ফরমেটে পাঠাতে হবে। নিউজের সাথে ছবি থাকলে তা পাঠাতে হবে। নিউজের যদি কোন তথ্য প্রমাণ থাকে তবে তা প্রেরণ করতে হবে। বি:দ্র: সকল শর্ত পরিবর্তন, পরিমার্জন এবং বর্ধিত করনের অধিকার কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষিত। মন্তব্য: BondhanTv – বন্ধন টিভি আমাদের নিজস্ব আয়ে চ্যানেলটি পরিচালিত হয়। আমরা কোন গ্রুপ বা কোম্পানির অর্থ বা কোন স্পন্সরের অর্থদ্বারা পরিচালিত নয়।

কুমিল্লার খাদি কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে


বন্ধন টিভি ডেস্ক
প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৮, ২০২৩, ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ
কুমিল্লার খাদি কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে

জেলার খাদির পোশাক সুখ্যাতি দেশজুড়ে। কুমিল্লায় থেকে খাদি কাপড় ছাড়া খালি হাতে ফিরেছেন এমন লোক কমই পাওয়া যাবে।

অফ হোয়াইট রং, মোটা কাপড়। দেখলেই যে কেউ বুঝতে পারে, কাপড়টা খাদি। এক সময় খাদি কাপড় শালেই বেশি ব্যবহার করা হলেও এখন ব্যবহারে এসেছে বৈচিত্র্য। খাদি কাপড় দিয়ে এখন তৈরি হচ্ছে পাঞ্জাবী, ফতুয়া, শার্ট, থ্রি-পিস, শাড়ি এমনি বিছানার চাদরও।অনেকে আবার পছন্দমতো বানানোর জন্য কিনেন থানকাপড়ও।

কুমিল্লার খাদি কাপড় বিক্রেতা মনির হোসেন বাসসকে বলেন, খাদি কাপড় চলে ভালো। বৈশাখ বা ঈদ না, সারা বছরই এ কাপড়ের চাহিদা রয়েছে। খুচরা কাপড় বেশি বিক্রি হয়। এ কাপড় দিয়ে পাঞ্জাবি, শার্ট, জোব্বা তৈরি হয়। খাদি কাপড় দিয়ে মেয়েরাও পোশাক বানায়।

খাদি কাপড় বিক্রেতা অপর ব্যবসায়ী তানভীর আহমেদ বাসসকে বলেন, এখন তো খাদি কাপড়ে রঙ ও ডিজাইনের ভিন্নতা এসেছে। দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলোতে খাদির কদর বেড়েছে। মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করে তারা নিত্যনতুন ডিজাইনের খাদি কাপড়ের পোশাক বাজারে আনছে। খাদি কাপড় মূলত কুমিল্লার ঐতিহ্য। খাদি বেশ জনপ্রিয়।

চরকা ও হস্তচালিত তাঁতে বোনা হয় খাদি কাপড়। প্রায় সারা বছরই খাদির চাহিদা থাকে। তবে যে উৎসবে চাহিদা বেড়ে যায়। এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় খাদি কাপড় আরও অনন্য হয়েছে।

কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য গবেষক আহসানুল কবির বলেন, খাদির গোড়াপত্তন হয়েছে ১০০ বছরের বেশি সময় আগে। ওই সময় শুধু খাদি কাপড় নয়, কুমিল্লার বেনারসি শাড়িরও তুমুল চাহিদা ছিল। সারা বিশ্বেই কুমিল্লার শাড়ি ও খাদি কাপড়ের নামডাক ছিল।

স্বদেশি আন্দোলনের সময় মহাত্মা গান্ধী বিদেশি পণ্য বয়কটের ডাক দেন। মোটা কাপড়, মোটা ভাত-সর্বত্র এমন আওয়াজ ওঠে। স্বদেশি আন্দোলনের পর খাদি কাপড়ের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে। মহাত্মা গান্ধী নিজেও খাদির চাদর পরিধান করতেন। কুমিল্লার মানুষ খাদি কাপড় পছন্দ করতেন। বড় বড় নেতারা খাদির পায়জামা, চাদর, পাঞ্জাবি পরে গৌরববোধ করতেন। এটার প্রচলন গত ৩০ বছর আগেও ব্যাপক হারে ছিল। খাদি কুমিল্লাকে ব্র্যান্ডিং করে।

প্রবীণ ব্যবসায়ী খাদিঘরের স্বত্বাধিকারী সোনিল কুমার বলেন, কুমিল্লার খাদি শিল্পের একটা শক্ত ভিত আছে। বর্তমানে খাদি শিল্পে অনেক নতুন নতুন ডিজাইন এসেছে, কারণ ১৯২২ সালের প্রেক্ষাপট ও চাহিদা এক নয়। শতবর্ষের খাদি পণ্য তার গুণগত মান বজায় রেখে আধুনিকতার সংমিশ্রণে প্রতিযোগিতার বাজারে চাহিদা ধরে রেখেছে।

পৃথিবীর যেখানে বাঙালি কমিউনিটি আছে সেখানেই খাদি কাপড়ের প্রসার ঘটেছে। কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, কুমিল্লার খাদি কাপড়ের বিশ্ববাজার ধরার মতো মান ও চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।
কুমিল্লার চান্দিনার বেলাশ্বর গ্রামের ক্ষিতিশ দেবনাথ ও তার ভাতিজা মতিলাল দেবনাথ এই গ্রামে এখনো খাদি কাপড়ের উৎপাদন ধরে রেখেছেন।

ক্ষিতিশ দেবনাথের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কাচারি ঘরের মতো একটি ঘর। ঘরের ভিতর চরকি, চরকা আর হ্যান্ডলুম মেশিন। যে মেশিনে হাতের সাহায্যে তাঁত বোনা হয়। গর্তে বসে দুই হাত দিয়ে টেনে সুতা থেকে কাপড় তৈরি হয়। তুলা থেকে সুতা বানানো হয় চরকায়। পাশে চৌকির ওপর সুতা ও থান কাপড়ের ভাঁজ ফেলে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃযুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গ কেউ তোলেননি : প্রধানমন্ত্রী
বর্তমানে কুমিল্লা শহরে খাদির নাম সংযুক্ত দোকান আছে চার শতাধিক। নগরীর রাজগঞ্জ বাজারের পশ্চিম দিক থেকে কান্দিরপাড়ের রামঘাটলা পর্যন্ত দোকানগুলোর অবস্থান। এসব দোকানে পাঞ্জাবি, ফতুয়া, থ্রি-পিস ও চাদরের চাহিদা বেশি। দিনে যে পরিমাণ পোশাক বিক্রি হয়, তাতে অন্তত ২০ হাজার গজ কাপড়ের দরকার হয়।

Spread the love
Link Copied !!