২৫ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি বাড়িতে কে এই আবুল হোসেন। প্রায় এক বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত একটি দ্বিতল বাড়ি। এই বাড়িতে বসবাস করেন আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রী। তবে কিভাবে তিনি বাড়িটিতে বসবাস করেন তা কারো বোধগম্য নয়। কেননা এটি একটি এপি সম্পত্তিভূক্ত সরকারি বহুমূল্যের সম্পদ। স্থানীয়দের ধারনা মতে বাড়িটির বর্তমান বাজার দর প্রায় ২৫/৩০ কোটি টাকা।
দ্বিতল বাড়িটি যশোর শহরের রেলগেট মুজিব সড়কে অবস্থিত। দড়াটানা থেকে রেলগেট রুটে রেলগেট পার হয়ে মুজিব সড়কে রায়পাড়া চাঁচড়ায় বাড়ি ও জমির অবস্থান। আরো পরিষ্কার তথ্য এই এটি রেলগেটস্থ ডোমার হোটেলের দক্ষিনে অবস্থিত।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আবুল হোসেন ও তার স্ত্রী বাড়িটিতে বসবাস করেন। শোনা যায়, আবুল হোসেন ফায়ার সার্ভিসে চাকুরি করতেন। তবে কোন প্রক্রিয়ায় বাড়িটিতে বসবাস করছেন তা কারো বোধগম্য নয়। যদিও বাড়ির সামনে একটি সাইনবোর্ড রয়েছে।
সেখানে উল্লেখ এটি সরকারি সম্পত্তি। ৮৭/৭৪ নং এপি খতিয়ানভূক্ত জমি। এর মালিক বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক যশোর। এছাড়া জমির সামনে আর একটি রোকেয়া জুনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড মারা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান জমি ও বাড়িটি প্রায় এক বিঘা জমির উপর অবস্থিত। এর বর্তমান বাজার দর অন্তত; ২০/২৫ কোটি টাকা। এত মূল্যবান জমি কিভাবে এই আবুল হোসেন বসবাস করছেন তা কারো বোধগম্য নয়।
তবে আবুল হোসেন কারো সাথে মেশেন না। তাকে মাঝে মধ্যে দ্বিতলে বসে থাকতে দেখা যায়। একজন প্রবীণ নারীকেও মাঝে মধে সেখানে দেখা যায়। ধারনা করা হয় তিনি আবুল হোসেনের স্ত্রী। তবে আদতে তারা কোথাকার মানুষ তা জানেনা এই এলাকার তাবৎ মানুষ।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে জরুরি তলব
তাছাড়া এই বাড়িতে নানা অনিয়ম হয়। এই অনিয়মে দুদিন আগে মারা যেতে বসেছিল স্বর্ণলতা পরিবারের কাওছার। যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ায় মৌমাছির কামড়ে বাবা ও মেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। কাউছার আলী (৪২) ও তার মেয়ে কাসপিয়া আনহা (৮)। প্রায় দেখা যায় বাড়িতে লোকজন। হৈ হট্টগোল। তবে কেন হৈ হট্টগোল তা কেউ বলতে পারেনা।
[…] ২৫ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি বাড়িতে কে… […]