সুপারী মহাজনের চেকে ১২ লাখ টাকা পাওনা দেখিয়ে মিথ্যে নামে মামলা। মহাজন পাওনা চেক ফেরত না দেওয়ায় এক খুচরা সুপারী বিক্রেতা বর্তমানে চরম আর্থিক ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন। ঐ সুপারী মহাজন চেকে ইচ্ছে খুশি ১২ লক্ষ টাকার অঙ্ক পাওনা দেখিয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী সদর আদালত যশোরে একটি মামলা করেছেন। মামলা নম্বর সি.আর-১৯৬/২২, তাং-০২/১০/২০২২। ধারা- এন আই এ্যাক্ট এর ১৩৮ ধারা। ভূক্তভোগী আসামি আবুল কালাম গাজী এ বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেছেন। আবুল কালাম গাজী ১১ নম্বর রামনগর ইউনিয়নের সিরাজসিঙ্গার মৃত হোসেন আলী গাজীর পুত্র। তিনি সতীঘাটা কামালপুরের আহসান উল্লাহ পাটওয়ারীর পুত্র আবুল কালামের কাছ থেকে সুপারী নিয়ে বিক্রি করতেন কমিশনের ভিত্তিতে।
জানা গেছে, ২০০৯/১০ সাল থেকের্ ফঁড়ে আবুল কালাম গাজী মহাজন আবুল কালামের কাছ থেকে সুপারী নিয়ে বিক্রি করতেন। ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ সুপারী নিতেন। এর বিপরীতে তিনি রুপালী ব্যাংক লি: এর মনিরামপুর শাখার সেভিংস একাউন্ট নম্বর-৪৮২০০১০০০৯৭০৫ এর একটি চেক দেন। চেকে কোন টাকার অংক উল্লেখ ছিল না। ২০২১ সালে চেকটি নেয় ডাচ বাংলা ব্যাংক ও শিশু নিলয় এর সমিতি থেকে আবুল কালাম ঋন নেন সেসময় তিনি সিরাজসিঙ্গার আবুল কালাম গাজীর চেক পাতা জমা দেন। সম্পর্কের খাতিরে এই চেক লেণদেন হয়। এরপর চে ফেরত চান ২০২১ সালের শেষ দিকে। সে ফেরত না দেওয়ায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আবারো চেক ফেরত চান। ফেব্রুয়ারি মাসে কয়েকবার চেক ফেরত চাইলে সে চেকটি ফেরত না দিয়ে বার বার বলে দিবানে দিবানে। এরপর সেখানে ১২ লাখ টাকা পাওনা বসিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি করে দেন।
হঠাৎ আবুল কালাম গাজী গ্রামবাসীর কাছে শোনেন সতীঘাটা কামালপুরের আবুল কালাম তার কাছে ১২ লাখ টাকা পাওনা দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছেন। এক্ষেত্রে স্বাক্ষী বাদি নিজে ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের যশোর শাখার ম্যানেজারসহ আরো অনেকে। এলাকায় এ বিষয়টি নিয়ে সুধীজনদের দুইবার শালিষ মীমাংষা হয়েছে। যার একটি হয় সতীঘাটা বাজারে, আরেকটি কুয়াদায় যেখানে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সতীঘাটা কামালপুরের আবুল কালাম চার লক্ষ টাকা দাবি করে তাহলে সিরাজসিঙ্গার আবুল কালাম গাজীর নামে কোন মামলা না করার নিশ্চয়তা দেন। তবে এরপর গেল অক্টোবরে তিনি মামলা করে টাকা দাবি করেছেন। এখানে তিনি চরম প্রতারনা করেছেন বলে অনুমিত হয়।
আরও পড়ুন: আরবপুর ইউনিয়ন উপ নির্বাচন নৌকা মার্কায় শাহারুল ইসলাম জয়ী
সিরাজসিঙ্গার আবুল কালাম গাজী জানান, ব্যবসার লেনদেন হিসাবে কিছু টাকা পাওনা হতে পারে সুপারী মহাজন আবুল কালাম। তবে তা কোনভাবেই ১০/১২ লাখ টাকা নয়। এখানে তিনি সরলার সুযোগ কাজে লাগিয়ে চরম প্রতারনা করেছেন। মামলা হওয়ায় তিনি অযথা হয়রানি হচ্ছেন। এমনকি সামাজিক ভাবেও তিনি নিগৃহিত হচ্ছেণ এই হত দরিদ্র ফড়ে আবুল কালাম গাজী। তিনি এ বিষয়ে যথাযথ তদন্ত দাবি করে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের আহবান জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :