রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে দুই বাসের চাপায় প্রাণহানি হয়েছে এক হেলপারের। দুই নিহত হয়েছে আরও তিনজন। তাদের মধ্যে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও সাঘাটায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী, পাবনার সুজানগরে শিশু রয়েছে। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জে আহত হয়েছে ২০ জন। স্টাফ রিপোর্টার, ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
ঢাকা : সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে দুই বাসের চাপায় নিহত সুমন মিয়া ‘লাল-সবুজ’ পরিবহণের একটি বাসের চালকের সহকারী ছিলেন। রোববার ভোর সাড়ে ৪টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান তিনি। সুমনের সহকর্মী বাসচালক শামসুল হক বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে লাল সবুজ বাসটির চাকা মেরামতের কাজ চলছিল। সুমন বাসের চাকা খুলে ব্রেক ওয়েল দিচ্ছিলেন। ওই সময় পেছন থেকে ইকোনো পরিবহণের একটি বাস ব্যাক গিয়ার দিয়ে ঘুরানোর সময় দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন সুমন।
গাইবান্ধা ও সাঘাটা : মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী রাজু সরকার নিহত হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মাস্তা বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রাজু গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের জবেদ আলীর ছেলে। এছাড়া সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিল মাগফিরাতের প্রাণ। শনিবার মাগফিরাত নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র বন্ধুদের সঙ্গে ফুলছড়ি উপজেলায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে বন্ধুদের মোটরসাইকেলে চড়ে ফুলছড়ি যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়। নিহত মাগফিরাত পদুম শহর ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল হকের নাতি ও মিলি এবং মাজু দম্পতির একমাত্র সন্তান।
সুজানগর (পাবনা) : সুজানগরে রাস্তা পারাপারের সময় ইজিবাইকের ধাক্কায় ইয়াছিন মল্লিক নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কাদোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়াছিন কাদোয়া গ্রামের রুহুল মল্লিকের ছেলে।
কিশোরগঞ্জ : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দরবার শরিফ থেকে ভক্তদের নিয়ে একটি বাস ফেরার পথে কিশোরগঞ্জ শহরের রশিদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রোববার দুপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। এতে ২০ জন আহত হয়েছেন। এ বাসে ৫৫ জন যাত্রী ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :