সমঝোতা তালাকের পর যৌতুক মামলায় দিশেহারা বাগডাঙ্গার আশিকুর। সমঝোতা তালাকের পর কাবিনের টাকা, খরপোষ বাবদ অর্থ, সাংসারিক জিনিষপত্র সব বুঝিয়া নেয়ার পরেও আবারো বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছেন এক গৃহবধূ। ভূক্তভোগী সাবেক স্বামী আশিকুর রহমান (৩৫) এই অভিযোগ করেছেন। মামলা নম্বর-সি.আর : ২২৮৪/২২, তারিখ : ০৬/১১/২০২২। এই মামলায় তালাকের স্বাক্ষী আশিকুরের ভাই হাসানকেও আসামি করা হয়েছে। আসামিরা যশোর সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা কারিগরপাড়ার মৃত শমসের আলী বিশ্বাস খোকনের পুত্র।
জানা গেছে, আশিকুর রহমানের সাথে চৌগাছা উপজেলার মুক্তারপুর উজিরপুরের ইসলাম আলীর কন্যা হাজেরা বেগমের তালাক হয় গত ১৮ অক্টোবর। উভয় পক্ষের সমঝোতা তালাক বাবদ আশিকুর রহমান হাজেরা বেগমকে দেনমোহরের টাকা, খরপোষ ১০ হাজর টাকাসহ সাংসারিক সকল জিনিষপত্র বুঝিয়া দেন। এই তালাকের স্বাক্ষী ছিলেন আশিকুর রহমানের ভাই হাসান (৪২)। সমঝোতা তালাকটির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন ৭নং চুড়ামনকাঠী ইউপি নিকাহ রেজিস্ট্রার মাওঃ হাকিম উল্যাহ। হাজেররা পক্ষে তালাকে স্বাক্ষী ছিলেন, তার মা ইসলাম আলীর স্ত্রী জুলেখা বেগম ও সাবেক মেম্বর মৃত সাহাদত হোসেনের পুত্র সিরাজুল ইসলাম।
গত ৬ নভেম্বর হাজেরা খাতুন (২৭) বাদি হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী চৌগাছা) আদালত যশোরে যৌতুকের মামলা করেছেন। নালিশে বাদি অভিযেগ করেছেন, বিবাহের সময় তার পরিবার একলাখ টাকা যৌতুক দিয়েছে। পরে আসামিরা আরো দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। ঘটনা চলতি বছরের ১০ অক্টোবর সকালে আসামির বাড়িতে মারধোর করে বাদিকে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে স্বাক্ষী মৃত হজরত আলীর পুত্র নুর ইসলাম, নুর ইসলামের পুত্র জুলেখা বেগম, মৃত হজরত আলীর স্ত্রী আয়নুর ও মৃত শহিদুল্লাহের পুত্র মিঠু বাদিকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: যশোর মেডিকেল কলেজ ৫০০ শয্যা হাসপাতালের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
আশিকুর রহমান জানান, তাকে ও তার পরিবারকে হয়রানি করতেই তার সাবেক স্ত্রী হাজেরা এই মামলাটি করেছেন। তারা ধুরন্ধর ও মামলাবাজ। কেননা তালাকের আগের তারিখ দিয়েছেন যৌতুক দাবির পক্ষে। এটি
সম্পূর্ন মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তিনি আশা প্রকাশ করেন বিজ্ঞ আদালত প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে তাকে বেকসুর খালাস দেবেন। তিনি সেই আশাতেই মামলায় লড়াই করছেন। তার পক্ষে মামলাটি
পরিচালনা করছেন সিনিয়র এ্যাডভোকেট হাজী মাহাবুর রহমান।
আপনার মতামত লিখুন :