সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ; রাজারহাট শ্মশান লুটপাটের অপচেষ্টা। রাজারহাট শ্মশান নিয়ে সংখ্যালঘু দ্বন্দ প্রকট হয়ে পড়েছে। প্রকৃত দাবিদাররা সেখানে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিজ্ঞ আদালতের নিষেধ অমান্য করে জোর পূর্বক শ্মশান কমিটির অফিস তালাবদ্ধ করেছে কথিত পাল্টা কমিটির লোকজন। এরা শ্মশান খাতের আয় ও জমির মার্কেট আয় লুটপাট করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ ঘটনায় যশোর সদর উপজেলার রাজারহাট এলাকা এখন সরগরম। শ্মশান কমিটির নেতৃবৃন্দ বুধবার ২৬ এপ্রিল প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছেন।
অভিযোগ রয়েছে কথিত কমিটির সভাপতির ছেলে শহরের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ঐ সংবাদ সম্মেলন ভন্ডুল করতে সাধারন সম্পাদক কে গৃহবন্দী করে রাখে। তবে সংবাদ সম্মেলনকারীরা শেষ পর্যন্ত বহাল তবিয়তে তাদের কর্মসূচি সম্পন্ন করেছেন।
এদিন দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজারহাট শ্মশান কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি পলাশ বিশ্বাস। তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালত কথিত কমিটির টাকা উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্ত তারা সেটি না মেনে বরং রাজারহাট শ্মশান কমিটির অফিসে তালা মেরে বন্ধ রেখেছে। শ্মশান কমিটির অফিসসহ মার্কেটে এখনো পর্যন্ত সাতটি দোকান রয়েছে। যেগুলো ভাড়া দেওয়া। এটি কমিটির একটি আয়ের খাত। বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত সদর, যশোরের দেং ৪৮২/২২ মামলার রায়ে এস-১ নং খতিয়ানে ৩১৯ দাগে ১১ শতক জমি যা পরিচালনা করেন ২৪/১২/২০২১ তারিখে গঠিত কমিটি। চলতি বছরের ২২ এপ্রিল ঐ কমিটির পূনাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে কমিটির লোকজন জানতে পারেন ২০ সদস্যের একটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কমিটিটি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির জেলা কমিটি অনুমোদন করেছেন। এই ২০ সদস্যের কমিটির সকল কার্যক্রমে বিজ্ঞ আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনকারীরা প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কেননা পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা নেতৃবৃন্দ প্রকাশ্যেই কথিত কমিটির পক্ষ নিয়েছেন। তারা জোর করে তথাকথিত কমিটি দিয়ে শ্মশান ও মার্কেটের আয়কে কুক্ষিগত করতে চায়। এরা অতি প্রভাবশালী ও লোভী। এরা শ্মশানের আয়কে নিজেদের পকেটে নিতে এসব ষড়যন্ত্র করছে। তাদের কাছে আইন ও নিষেধাজ্ঞা যেন ফালতু একটি ঘটনা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজারহাট শ্মশান কমিটির সভাপতি রতন কুমার পাল,কোষাধ্যক্ষ প্রভাস কুমার দাস, পূজা বিষয়ক সম্পাদক রাজ কুমার অধিকারী, বেজপাড়ার অখিল কুমার চক্রবর্তী, শ্মশান কমিটির সদস্য কৃষ্ণপদ সাহা, রবিন অধিকারী, কৃষ্ণ দাস, গনেশ বিশ্বাস, বিপুল সরকার, বিশ্বজিৎ সরকার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: যশোরে ৩ টি পিস্তল ও গুলিসহ ২ চরমপন্থী গ্রেপ্তার
রাজারহাট শ্মশান কমিটির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, সংবাদ সম্মেলন করতে আসার সময় প্রেসক্লাবের সামনে পৌছালে কথিত কমিটির সভাপতি রমেন পালের ছেলে দীপ্ত পাল ১০/১২ জন সন্ত্রাসীসহ তাদের ব্যারিকেড দিয়ে সংবাদ সম্মেলন ভন্ডুল করতে চড়াও হয়। কিন্ত উপস্থিতির সংখ্যা বেশি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সংবাদ সম্মেলনকারীদের দূড়তায় তারা পিছু হটে যায়। তবে তারা যাওয়ার সময় শ্মশান কমিটির সাধারন সম্পাদক গৌড় চন্দ্র সাহা কে সংবাদ সম্মেলনে আসতে ব্যারিকেড দেয়।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ প্রকাশ্যেই অবৈধ উপায়ে গঠিত কমিটির পক্ষ নিয়েছেন। এমনকি ঐ কমিটিকে তারা অনুমোদনও দিয়েছেন। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পেশ করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
[…] […]