শৈশবের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চান বাটলার। শৈশবে বাড়ির বাগানে ভাইবোনদের সাথে খেলার সময়ই ইংল্যান্ড ক্রিকেটে গৌরব অর্জনের বিষয়ে ভাবতের অধিনায়ক জশ বাটলার। এখন সেই স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বাটলার।
সাদা বলের ফরম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে ইয়োইন মরগানের স্থলাভিষিক্ত হবার পর প্রথম কোন বড় টুর্নামেন্টে রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিবেন বাটলার।
৩২ বছর বয়সী বাটলার বলেন, ‘অবশ্যই আমি এ ধরনের স্বপ্ন দেখতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই আমি মনে করি শৈশবকালে নিজ বাড়ির বাগানে ভাই-বোনদের সাথে ট্রফি তোলার মত অভিনয়ের সাথে এটির সম্পর্ক রয়েছে। এখন বাস্তবে রূপ দেওয়ার সুযোগ এসেছে, এটি অবিশ্বাস্য ধরনের বিশেষ কিছু।’অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বড় অর্জনের প্রস্তুতিকালে শৈশবের স্মৃতিগুলো ফিরে এসেছে বলে জানান তিনি।
বাটলার বলেন, ‘আমি মনে করি এসব বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করা ভাল এবং এটি কি হবে তা অনুভব করা যায়। এটি এমন এক অনুভূতি যা আমি মনে করি না, আমার চেষ্টা বা নষ্ট করার এবং দূরে ঠেলে দেয়ার দরকার আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি দল বা ব্যক্তি হিসাবে ভালভাবে কিছু পরিবেশন করতে কাল সেরা ক্রিকেট খেলার জন্য যা করতে হবে তার উপর ফোকাস করা উচিত আমাদের।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে মরগান অবসর ঘোষণার মাত্র কয়েকদিন পর গত জুলাইয়ে অধিনায়কের দায়িত্ব পান বাটলার।
২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে পড়ার পর মরগানের হার ধরে নতুন রুপে জেগে উঠে ইংল্যান্ড। তার নেতৃত্বে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ^কাপ জিতে ইংলিশরা। মরগানের সহ-অধিনায়ক হিসেবে থাকার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বাটলার জানান, মরগানের অবসরের পর আরেকটি নতুন যুগকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘আশা করি, একজন অধিনায়ক হিসেবে আমি নিজেকে তৈরি করতে আরও বেশি সময় পেয়েছি এবং (কোচ) ম্যাথিউ মটের সাথে ইংল্যান্ডের সাদা বলের ক্রিকেটের পরবর্তী যুগকে নতুন রুপে সাজাতে পারবো।’
আরও পড়ুন : সরকার রিজার্ভ থেকে এক পয়সাও নষ্ট করে না : প্রধানমন্ত্রী
মরগানের অধীনে পাওয়া শিক্ষা দলকে উপকৃত করছে বলে জানান বাটলার, ‘অবশ্যই আমরা মরগানের মেয়াদকালে ইংল্যান্ডে সাদা বলের ক্রিকেটে যে পরিবর্তন ঘটেছে আমরা তার পুরষ্কার ভোগ করছি এবং সাদা বলের প্রতিভা শক্তি এবং গভীরতা দেখে সেটি বোঝা যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক বেশি রোমাঞ্চ নিয়ে আমি সামনে তাকিয়ে আছি এই ছেলেদের ওপর আমার বিশ্বাস অনেক বেশি। কোচরা আমাদের নিয়ে দারুন কাজ করছে, তাদের ওপরও ভরসা অনেক। মরগান অবশ্যই খুব ভালো বন্ধু এবং আমি কারও মতামত নিতে চাইলে তার জ্ঞানের সেই গভীরতা আছে। তবে আমি আমার মতো করেই এখন করতে চাই।’
আপনার মতামত লিখুন :