শাহবাগে সরঃ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বাস্তবায়নের দাবিতে মহাসমাবেশ করেছে বাসাছাপ।বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির অঙ্গীকার ৩৫ বাস্তবায়নের দাবিতে শাহবাগে মহাসমাবেশ করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ।
মহাসমাবেশে বাসাছাপ মুখপাত্র ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, পূর্বে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল ২৭ বছর যখন গড় আয়ু ছিলো ৪৫ বছর। ১৯৯১ সালে যখন ৫০ ছাড়ালো তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিলো ৩০। এখন আমাদের গড় আয়ু ৭৩ বছর , তাহলে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কত হওয়া উচিত? মুখপাত্র এসে, বি, সোনিয়া চৌধুরী বলেন গড় আয়ু বৃদ্ধির কারণে চাকরিতে অবসরের সীমা ২০১১ সালে ৫৭-৫৯ করা হয়। কিন্তু প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলো না। এটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে অবিচার করা হয়। প্রধান সমন্বয়ক আল কাওছার বলেন করোনা মহামারীর কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
এম, এ, আলী বলেন জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক এবং অনার্সের পরিধি বাড়ার কারণে নন পিএসসির ক্ষেত্রে আবেদনের যোগ্যতা অর্জনের বয়স ১৮ বছর এবং বিসিএস সহ প্রথম শ্রেণীর চাকরির ক্ষেত্রে ২১ বছর, এই আইন দুইটি অনেক আগেই যোগ্যতা হারিয়েছে।যদি এটি বাতিল করা হয় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা এমনিতেই বেড়ে যায়। সদস্য সচিব ইউসুফ জামিল বলেন, মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি, জুডিশিয়ারি ও ডাক্তাররা ৩২ বছর পর্যন্ত আবেদন করতে পারে। নার্সদের ৩৬ বছর এবং বিভাগীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ ও পার্বত্য তিন জেলায় ৪০ বছর পর্যন্ত আবেদন করতে পারে। তাহলে আমরাই কেন শুধু বৈষম্যের শিকার। প্রধান সমন্বয়ক জোবায়ের বলেন, বয়স বৃদ্ধির দাবিটি যুক্তিকতার বিচারে এবং দেশব্যাপী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসনের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ৫ বার সুপারিশ করেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসিতে “নিরাপদ ছাদ কৃষি ” বিষয়ক দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত
৯ ম জাতীয় সংসদ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ পর্যন্ত প্রায় ১০০ বারের বেশি সংসদে এই প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। ৫ বার মহান সংসদের পয়েন্ট অফ অর্ডারে বয়স বৃদ্ধির দাবিটি পেশ করা হয়। ৪ বার সংসদে কন্ঠভোটের আয়োজন করা হয়। আওয়ামীলীগ সহ সকল দলের নির্বাচনী ইশতেহারে দাবিটি ছিল। কিন্তু দূর্ভাগ্যের করাল গ্রাসে আজ ও আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করা হয়নি। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে কি আমরা ভূল করেছি।
[…] […]
[…] […]