রাশিয়া জেনেবুঝে নিষিদ্ধ জাহাজে পণ্য পাঠিয়েছে বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নিষেধাজ্ঞা আছে— এমন জাহাজে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পণ্য পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। রাশিয়া জেনেশুনে এ কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী।
আজ রবিবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে তাজ্জব লেগেছে যে রাশিয়া জেনেশুনে নিষেধাজ্ঞা আছে—এমন জাহাজের নাম পরিবর্তন করে পাঠিয়েছে। আমরা এটি আশা করিনি। আমরা আশা করি, রাশিয়া এখন নিএমন জাহাজ আমরা গ্রহণ করতে চাই না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা রাশিয়াকে বলেছি—নিষেধাজ্ঞা ছাড়া অন্য যেকোনো জাহাজে পণ্য পাঠাতে। নিষেধাজ্ঞা আছে, এমন জাহাজ আমরা গ্রহণ করতে চাই না।’
গত ১৯ জানুয়ারি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম খালাস না করেই ভারতের জলসীমা ছেড়েছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা রুশ জাহাজ ‘উরসা মেজর’। প্রায় দুই সপ্তাহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করেছিল জাহাজটি। কিন্তু পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি নয়াদিল্লির অনুমতি পেতে ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছেড়ে যায় জাহাজটি।
আরও পড়ুনঃ যশোর থানায় ভূক্তভোগীর অভিযোগ মুজিব সড়কে ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে
ওই দিনই (১৬ জানুয়ারি) রাশিয়ার পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়, উরসা মেজরের পরিবর্তে এখন অন্য জাহাজে করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম বাংলাদেশে পাঠানো হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ কথা জানান। নিষেধাজ্ঞা নেই—এমন একটি জাহাজে পণ্যগুলো পাঠাবে।
মিয়ানমার সীমান্তে হত্যা এবং গোলাগুলির ঘটনা দুঃখজনক। বাংলাদেশ তার সীমান্ত রক্ষা করে চলেছে। চীনকে এ ব্যাপারে অবহিত করা হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আপনার মতামত লিখুন :