যুদ্ধাপরাধীদের স্বীকৃতির দলিল বিএনপির ‘রেইনবো নেশন’। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি মহোদয়ের নিউ ইস্কাটনের বাসভবনে ২১ শে ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের উদ্যোগে প্রেস ব্রিফ করে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চৌদ্দ দলের পক্ষ থেকে আমাদের অভিনন্দন গ্রহণ করুন। চৌদ্দ দলের পক্ষ থেকে আমরা বিভিন্ন সময় বলেছি যে বিএনপি সামপ্রদায়িক সময়ে ও অতীতে ও বিভিন্ন সময় যে আন্দোলন করে আসছে তা কেবল সরকার পরিবর্তনের লক্ষেই নয় বরং বাংলাদেশকে তার অসাম্প্রদায়িক গনতান্ত্রিক ভিত্তি ভূমি থেকে সরিয়ে পচাত্তর পরবর্তী দিন গুলোতে ফিরিয়ে নেয়ার লক্ষ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
গতকাল বিএনপি তাদের ভাষায় রাস্ট্র কাঠামো মেরামত রুপরেখার দিয়েছে তাতে তাদের ঐ লক্ষ উদ্দেশ্য নগ্ন ভাবে বেরিয়ে এসেছে। ঐ রুপরেখার প্রথমেই তারা গত একাদশক ধরে সরকার সংবিধানের যে । সব, তাদের ভাষায় যৌক্তিক সংশোধনী, এনেছে তা তারা ক্ষমতায় গেলে তাদের কথিত। সংবিধান সংস্করণ কমিশন, দ্বরা সংস্কার করবে। একই সাথে সংবিধানে গণভোট প্রথা পুনঃ প্রবর্তন করবে।
আপনাদের জানা যে গত একদশকে যে সংশোধনী আনা হয় তার মৌলিক বিষয় সহমূহ ছিল জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের বেয়নটের খোঁচায় বাতিল সংবিধানে চার মূলনীতির অন্যতম। ধর্মনিরপেক্ষাতার পুণঃস্থাপন, সমাজতনএের লক্ষ্যের পুনঃ প্রবর্তন করা। একই সাথে সংবিধানের ১২ বিধি যেখানে ধর্ম নিরপেক্ষতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কে বলা আছে, সর্বপ্রকার সাম্প্রতিকতা রাস্ট্র কতৃক কোনো ধর্মকে মর্যাদা দান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ধর্মীয় অপব্যবহার ও কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন বিলুপ্ত করা, সেই ১২ বিধির । পুনঃসংযোজন এর বাইরে আর যে বিষয়টি মৌলিকভাবে সংযোজন করা হয়েছিল তা হল বর্তমান। সংবিধানের ৭ (কে) ধারায় কোন ব্যক্তি শক্তি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা অন্য কোন অসাংবিধানিক পন্থায় সংবিধান সংশোধন, বা তার কোন অনুচ্ছেদ রদ, রহিত বা বাতিল করলে, তা।রাস্ট্রদ্রোহিতারঅপরাধ বলে গন্য বলে এবং সে জন্য সর্বোচ্চ দণ্ডে দন্ডিত করা হবে।
বিএনপি বর্তমান সরকারের মৌলিক যে সংশোধনের কথা বলছে তা এইসবই এবং একেই তারা উল্টো দিয়ে জিয়াউর রহমানের আমলে এত সংক্রান্ত সামরিক শাসনের বিধানে ফিরে যেতে চায়। সামরিক শাসন তথা অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা দখলকে নিষ্টন্টক করতে চায়। তারা গণভোট পুণঃপ্রবর্তনের যে কথা বলছে তাও তাদেরকৃত সংবিধান সংশোধনগুলো সাধারণ ভাবে পরিবর্তন। করা না যায় তার উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
বিএনপি সংবিধান সংশোধন আরও লক্ষ ঐ পঞ্চদশ সংশোধনীতে বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ, স্বাধীননতার ঘোষনা ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করার বিধানসমূহকে বাতিল করা। তাদের ২৭ দফা রুপরেখার এই একটি ধারা পড়লেই তাদের লক্ষ ও উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাদের, রেইনবো নেশন ও ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশনের লক্ষে একই। যেভাবে জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল, পাকিস্তানের পাসপোর্টধারী গোলাম আজম কে দেশে ফিরতে দেয়া এবং সমপুর্ন বলে আইনী ভাবে এদেশে তার অবস্থান শাহ আজিজ, যুদ্ধপরাধী আলি মসহ।
স্বাধীনতাবিরোধীদের সরকারের মন্ত্রীত্ব প্রদান, পচাত্তরের খুনীদের প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। পুনর্বাসন, খালেদা জিয়া কতৃক গোলাম আজমকে নাগরিকত্বদানদান ,যুদ্ধপরাধী নিজামীর , মুজাহিদের মন্ত্রীত্ব প্রদান করা স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনৈতি ও সমাজে পুনঃপ্রতিষ্টা করেছিলো এই রেইনবো নেশন ও ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশনের অর্থ সেই পরাজিত শক্তিকে খুনী অপরাধীদের আরেক দফা রাস্ট্র ও সমাজের স্বীকৃতিদান।
১৪ দল কখনই একাত্তার ও পচাত্তরের খুনীদের সাথে রিকনসিলিয়েশনের নামে, রেইনবো নেশন, নামের এই সুচতুর পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। এই দুটি প্রশ্ন বহু আগেই মিটমাট হয়ে গেছে। আবার নতুন করে করার কোন প্রোয়জন নাই। তাদের ২৭ দফার অন্যান্য বিষয়গুলো সম্পর্কে তাদের শাসনামলেরই অভিজ্ঞতা দেশেবাশীর আছে।
কিভাবে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে ভূয়া ভোটার তৈরি করা হয়েছিল, কিভাবে নিম্ন আদালত কেবল নয়, সর্বোচ্চ আদালত কে কুক্ষবিগত করা হয়েছিল, দুর্নীতির বিস্তার কোথায় পৌছেছিলো তা সবাই জানা। কেবল সাধারণ কর্মীদের ক্ষেত্রে সীমিত ছিল না বিরোধী দলের নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তারা একুশে আগস্ট মাসে গ্রেনেড হামলা হত্য, করতে চেয়েছিল।
অপারেশন ক্লিন হার্টে এক হাজার জনের মৃত্যু ও দশ হাজার মানুষের পঙ্গু হয়ে যাওয়া তাদের আমলে ঘটেছিল। বরঞ্চ এ ক্ষেত্রে অপরাধীদের বাচাতে ইনডেমনিটি দেয়া ছিল। দশ ট্রেক অস্ত্র চোরাচালান, শাহ এসএম কিবরিয়া খুন, ব্রিটিশ রাস্ট্রদূতের উপর হামলা, তাদের কুকর্মের এই তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে।
আরও পড়ুন : সাভারে দাম্পত্য কলহের জেরে, স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে দিলেন স্ত্রী
রাস্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে বিএনপি এই রাজনীতি জনগণ অতীতে ঘৃণা ভাবে প্রত্যাখান করছে এবার ও করবে তাদের সাথে যারা যুগপৎ আন্দোলনে শরিক হয়েছে তারাও আমাদের অজানা নয়। খুবই ক্ষুদ্র স্বার্থে তারা এক হয়েছেন। আমরা আশা করব তারাসহ সকল শ্রেণীর পেশার মানুষ এর থেকে দূরে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে, এগিয়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :