যশোর চুড়ামনকাটি উত্তেজনা । বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার বিকালে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাজারে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংর্ঘষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে কোতয়ালী মডেল থানায়। অভিযোগে বর্তমান চেয়ারম্যান বাদী হয়ে ৩৯ জনকে ও সাবেক চেয়ারম্যান বাদী হয়ে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে এই অভিযোগ দায়ের করেনে।
পুলিশের দাবি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ হওয়াই তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। ঘটনার পর গোটা ইউনিয়ন জুড়ে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক আতংক বিরাজ করছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিকালে তার কর্মীদের নিয়ে বাজারের হাই স্কুল রোড়ে তার বাসার সামনে বসে ছিলেন।এ সময় বর্তমান চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের ভাইপো লিপু ও সেলিম উক্ত রাস্তা দিয়ে চুড়ামনকাটি বাজারে আসছিলো।
লিপুর অভিযোগ কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার নেতৃত্বে তার উপর হামলা চালানো হয়। অপর দিকে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার অভিযোগ তাদের উপর হামলা চালায় বর্তমান চেয়ারম্যানের কর্মী সমর্থকরা। ঘটনার পর রাতেই চুড়ামনকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন সাবেক চেয়ারম্যান মুন্নসহ তার ৩৯ নেতাকর্মীর নামে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না, তার ভাই আব্দুল হান্নান, তার ছেলে আব্দুল আওয়াল, মোজাম হোসেন, হোসেন আলী, হাসান আলী, তপন উদ্দীন, হায়দার আলী, আবু তালেব, মহিদুল ইসলাম,
আজিজুর রহমান, ইসহাক আলী,আনিসুর রহমান, বকুল হোসেন, আব্দুর রশিদ, শহিদুল ইসলাম, পান্না, ইউনুচ আলী,কোরবান আলী,মনিরুল ইসলাম,অুুল পাল, হয়রত আলী, অসিম দাস, তপন দাস, উত্তম দাস, দদু কুমার মন্টু, রাম দাস, রতন দাস, ভরত দাস, সমন্তি দাস, প্রসাদ দাস, বাপ্পি, দুখু চান, সুমন, আমির হামজা, আবুল হোসেন,মহাসিন আলী,জাকির হোসেন, আক্তার হোসেনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নাও বাদী হয়ে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনকে ১ নং আসামী করে এই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন, চেয়ারম্যানের ছেলে তানভির রকসি,জাকির হোসেন দারা, সেলিম পারভেজ, বাদশা, শুভ, আশরাফ হোসেন, হাফিজুর রহমান,ইনছান আলী, দিপু, আমিরুল ইসলাম, আনিছ, আলিম, মো রাজ্জাক, বকুল হোসেন, মিজানুর রহমান, আবু সাঈদ, সুমন হোসেন।
ইউপি চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন জানান, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল
মান্নান মুন্না তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে আমাকে মারার উদ্দ্যেশে ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালায়। তারা এ সময় আমার দলের ৬ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বও আহত করে।বর্তমানে গুরুত্বর আহত অবস্থায়
৪ জন যশোর ২৫০ শষ্যা হাসপাতালে ভর্তি আছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন,প্রকাশ্যে শত শত লোকের সামনে হামলাকারীরা এই তান্ডব চালায়।
তিনি আরো জানান,হামলাকারীরা এখনো প্রকাশ্যে বাজারে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ কাউকে আটক না করায় তিনি হতবাক।তিনি দাবি করেন হামলাকারীদের সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।তিনি দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না অভিযোগ করে বলেন,বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বাজারের নিজ বাড়ির সামনে বসে ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুজিব সড়কে রাজিব-আরাফাত গং বেপরোয়া
এ সময় হঠাৎ বর্তমান চেয়ারমানের অনুসারীরা আমারসহ আমার নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়।এ সময় আমরা প্রতিহত করতে গেলে সংর্ঘষের সৃষ্টি হয়।তিনিও দোষীদের দ্রুত আটকের দাবি জানান। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত দুটো অভিযোগই এখনো রের্কড হয়নি। পুলিশের দাবি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ হওয়াই তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।ঘটনার পর থেকে গোটা চুড়ামনকাটি বাজারটি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
[…] […]