যশোর ৫নং ওয়ার্ডে কম্যুনিটি পুলিশিং কমিটি সাধারন সম্পাদক কে নিয়ে বিষোদাগার। যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় গঠন করা হয়েছে বিভিন্ন সামাজিক কমিটি। রয়েছে আঞ্চলিক চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, সুদে ব্যবসা বন্ধে কম্যুনিটি পুলিশিং কমিটিও। কিন্ত জনগনের অভিযোগ এসব কমিটির বেশিরভাগ বিভিন্ন অপতৎপরতা বা অপকর্মে জড়িত। অসামাজিক মানুষজন বিভিন্ন তদবিরের মাধ্যমে এসব কমিটিতে পদ দখল করে নানা অপকর্মে লিপ্ত। স্বর্ণলতা.নিউজ জনগনের যথাযথ চাহিদা ও অভিযোগের ভিত্তিতে এসব কমিটির অপতৎপরতা ধারাবাহিক প্রকাশ করছে।
চোরমারাদিঘী আদর্শপাড়া ও ডালমিল মহল্লা কম্যুনিটি পুলিশিং কমিটি যশোর শহরের ঘনবসতিপূর্ন চোরমারা দিঘী, আদর্শপাড়া ও ডালমিল পশ্চিম পাড়া কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারন সম্পাদক কে জনমনে তীব্র বিষোদাগার। একজন ছিনতাইকারী ও সাজাপ্রাপ্ত হয়েও কিভাবে সে সামাজিক নেতৃত্বদানকারী এই গুরুত্বপূর্ন পদটি দখল করেছেন ও তা বহাল রেখেছেন তা নিয়ে তীব্র আলোচনা সমালোচনা সর্বত্র। বিশেষ করে ঐ এলাকায় সরকারি চাকুরিজীবি, শিক্ষক, সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও জৈষ্ঠ লোকজন থাকতেও কিভাবে এই কমিটিতে সে সাধারন সম্পাদক হয়েছে তা নিয়ে জোর আলোচনা সমালোচনা সর্বত্র।
সরেজমিনে জানা যায়, কবছর আগে মহল্লার মঙ্গলের স্বার্থে ঐ এলাকার লোকজন একটি শান্তি কমিটি করেন। পরে পুলিশিং কমিটিতে তা রুপান্তর হয়। এই কমিটির সাধারন সম্পাদক হয়েছেন জনৈক শাহাজাদা নেওয়াজ। স্থানীয়রা জানান, তাকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তাছাড়া একটি ছিনতাই মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী কিভাবে কম্যুনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পায় তা বোধগম্য নয়।
অভিযোগে একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, এলাকাটি কেমন যেন। সমাজবিরোধীরা সেখানে সামাজিক পদ দখল করে আছে। তাছাড়া এখানে যেন ঘরে ঘরে অবৈধ সুদে ব্যবসা হয়। শুনেছি ঐ সুদে কারবারিদের সাথে এই কম্যুনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারন সম্পাদক শাহাজাদার বেজায় সম্পর্ক। তাছাড়া সর্বশেষ পৌর নির্বাচনে তার ১০ বছর সাজা খাটার তথ্য গোপন করে সে যশোর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছিল। কিভাবে তা সম্ভব তা আমার বোধগম্য নয়।
চাঁচড়া ফাঁড়ির একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কম্যুনিটি পুলিশিং কমিটি চাঁদা উঠাতে পারেনা। কিন্ত চোরমারা দিঘী, আদর্শপাড়া ও ডালমিল পশ্চিম মহল্লা কমিটি এই অনৈতিক কাজটি করছে। এজন্য তাদের সতর্কও করা হয়েছে। তবে এখনো যদি টাকা উঠানো বন্ধ না করে তবে শীঘ্রই পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। যশোর পৌরসভার একজন নারী নেত্রী বলেন, শাহাজাদা নেওয়াজ ও জনৈক মিন্টুকে কবছর আগে চুরির দায়ে বারান্দীপাড়াস্থ সিডিএফ কার্যালয়ে হাতে নাতে ধরে বেঁধে রাখা হয়েছিল। সেই শাহাজাদা কিভাবে কম্যুনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারন সম্পাদকের মত গুরুত্বপূর্ন পদ দখল করতে পারে তা বোধগম্য নয়।
আরও পড়ুন: উন্নয়নে অপূর্ব বাংলাদেশ
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন কর্মকর্তা বলেন, যশোর কোতয়ালি থানার চোরমারা দিঘীর পাড় মহল্লার শাহাজাহানের পুত্র শাহাজাদা ছিনতাই মামলায় ১০ বছর সাজা খেটেছেন। সম্ভবত ঐ মামলার বাদি ছিলেন তৎকালীন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট শরীফ আব্দুর রাকিবের ভাই রবি।
সাবেক আওয়ামীলীগ নেতা শরীফ আব্দুর রাকিবের স্বজন জানান, শাহাজাদা সেসময় যশোর সরকারি এম এম কলেজ বিএনপি ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। এরা পরিকল্পিত ভাবে রবি ভাইয়ের কাছ থেকে ছিনতাই করেছিল। তবে ভোল পাল্টে সে আওয়ামীলীগ সেজেছে শুনেছি কিন্ত তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
আপনার মতামত লিখুন :