মায়ের বিরুদ্ধে পুত্রের সংবাদ সম্মেলন। লন্ডনের ব্যারিষ্টার এ কে মর্তুজা মা বোন ও ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এসময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম হাবিব, ফুফু শহিদা বেগম, হামিদা বেগম, চাচা আওয়ামীলীগ নেতা বাবুল ও আব্দুর রশিদ, চাচাত ভাই সাকিব, দুলাভাই মনিরুল ইসলাম, সহ স্বজনরা। এটি প্রথমটি অর্থাৎ লতিফা হায়দারের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন।
ব্যারিষ্টার একে এম মর্তুজা লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, তার পিতা মাতার বুদ্ধিতে দুই ফুফুর ৪০ বিঘা জমি ফাঁকি দিয়ে নিজেদের নামে করে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, তার পিতা ১০ বিঘার একটি জমি যা এক স্থানে রয়েছে সেটি ট্রাস্ট দান করতে চান। এর চেয়ারম্যান করা হবে বড় বোন কে। কিন্ত নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থে জমি দানের বা ট্রাস্টির বিপক্ষে। এরা সকলে মিলে তার পিতা হায়দার আলীকে নির্যাতন করেন। তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। অথচ তার মা ও বোনেরা মিলে পাসপোর্ট ও ভিসা অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রেখেছে। আগের বছর এপ্রিলে তার হাড় ভেঙ্গে দেয়। এসবের ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।
ব্যারিস্টার একে মর্তুজা বলেন, মাত্র সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ করে ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডে যায়। এরপর সেখানে সে ব্যারিস্টার এট ল পাশ করেন। তার বাড়ির জমি প্রয়োজন নেই। কেননা তিনি লন্ডনে প্রতি মাসে কোটি টাকা আয় করেন। তার বিরুদ্ধে মা পাট ও গম বিক্রির অভিযোগ করেছেন। কিন্ত বাস্তবতা এই, সেই গম ও পাট বিক্রির টাকা পিতা হায়দার আলীর কাছে জমা রয়েছে। তাছাড়া এসব ঘটনা গ্রামের মেম্বর ও সাবেক মেম্বর জানেন।
তিনি বলেন, গ্রামের সকলের নামে কয়েকটি মামলা করা হয়েছে অন্যায়ভাবে। তিনি একজন মানবিক পুত্র হিসাবে পিতার উপর নির্যাতনের সুরাহা চান। তার চিকিৎসা করাতে চান। পাশাপাশি আইনের শাসন চান। কেননা তার মা সারা জীবন
হিংসুটে ছিলেন। তার বড় বোন ও দুলাভাইকে ছেড়ে থাকেন। তার ছোট বোনটির স্বভাব চরিত্র ভাল না তাকে নিয়ে গ্রামে কয়েক দফা শালিষ বিচার হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতবিন্ধীদরে সাথে মোহন’স ওর্য়াল্ডরে প্রথম প্রতষ্ঠিা র্বাষকিী উদযাপন
এ কে মর্তুজা বলেন, তার চাওয়া পাওয়া বলতে দাদার নাম যেন বজায়ে থাকে। তবে জমি ট্রাস্ট করার বিষয়টি একেবারেই তার পিতার একার বিষয়। এটি তার বিষয় নয়। তবে তার খারাপ লাগছে এই ভেবে যে আজ পরিবারের নোংরা বিষয়টি সকলের সামনে উঠে আসছে।
আপনার মতামত লিখুন :