ব্রাম্মণবাড়িয়া-২ আসনে শিক্ষার তীর্থভূমি হিসেবে গড়ে তুলতে স্বাশিপের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান সাজু জনগণের পাশে নৌকার মাঝি হয়ে থাকতে চান।
আসন্ন ব্রাম্মণবাড়িয়া-২ ( সরাইল – আশুগঞ্জ) আসনে শিক্ষার তীর্থভূমি হিসেবে গড়ে তুলতে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপের ) একাধারে দুবার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান সাজু জনগণের পাশে নৌকার মাঝি হয়ে থাকতে চান।
অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মেঘনা বিধৌত আশুগঞ্জ উপজেলার বৈকণ্ঠপুর (বড়তল্লা) গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ঢাকা মহানগর মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য, ঢাকা গভঃ কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতীয় কার্যকরী সংসদে দুইবার সদস্য, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক ও সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সৃষ্টিশীল গঠনমূলক ছাত্র রাজনীতিতে অনন্য অবদান রাখায় তিনি ‘পালক’ এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
১৯৮৮ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সম্মেলনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোঃ এরশাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দাবি না মেনেই চলে যাবার সময় শাহজাহান আলম সাজু’র নেতৃত্বে ছাত্ররা রাস্তায় শুয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করলে রাষ্ট্রপতি তাৎক্ষণিকভাবে ছাত্রদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হন।
স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তাকে চার-চারবার কারাবরণ করতে হয়েছে। ১৯৮৫ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ময়েজ উদ্দিন হত্যা মামলার রায়ের দিন ঢাকা জজকোর্ট চত্বরে ছাত্রলীগের মিছিলে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। বোমা হামলার সেই ক্ষত চিহ্ন এখনো তিনি বয়ে বেড়াচ্ছেন।
১৯৮৮ সালে গাজীপুরস্থ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ।
১৯৯০ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর থেকে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে শাহজাহান আলম সাজু’র নেতৃত্বে সর্বদলীয় প্রতিরোধ আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদ তাকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াতে পরামর্শ দেন। কিন্তু শাহজাহান আলম সাজু আন্দোলন অব্যাহত রাখলে ৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ-বিডিআর যৌথভাবে ক্যাম্পাসে অভিযান চালিয়ে শাহজাহান আলম সাজু সহ ১২ ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালায় যার ক্ষত চিহ্ন এখনও তিনি বয়ে বেড়াচ্ছেন। (“বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও ৮ দলীয় জোট নেত্রী শেখ হাসিনা এক বিবৃতিতে ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহজাহান আলম সাজু সহ ১২ জন ছাত্রনেতাকে পুলিশ ও বিডিআর কর্তৃক গ্রেফতার ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানান। তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি করেন। তিনি বর্তমানে রাণীশংকৈল বঙ্গবন্ধু কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ পদে কর্মরত আছেন।
তাহার সাথে কথা হলে তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার হাত ধরেই এসেছে বাংলাদেশের সব অর্জন
নানা প্রতিকূল পরিবেশ ও পরিস্থিতি মোকাবিলা করে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। টানা তিন মেয়াদের এই সরকারের প্রথম মেয়াদেই দৃশ্যমান হয় ডিজিটাল বাংলাদেশ। আজ গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট, কম্পিউটার, স্মার্ট ফোন।
উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সরকার দেশকে আধুনিক অবকাঠামো সমৃদ্ধ করে তুলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরেই বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে পারমাণবিক বিশ্বে, স্থান করে নিয়েছে মহাকাশে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পিছনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান অনস্বীকার্য।
আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, আওয়ামী লীগ একটি অনুভূতির নাম। ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, লাখো মানুষের রক্ত, বঙ্গবন্ধুর রক্তের একটি অনুভূতির নাম আওয়ামী লীগ। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে আওয়ামী লীগের ত্যাগ রয়েছে। বাঙালি জাতির মুক্তির মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে গণতান্ত্রিকভাবে জন্ম নেয় আওয়ামী লীগ।
পৃথিবীতে অনেক রাজনৈতিক দল আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের মতো এতো ত্যাগ আর কারো সঙ্গে তুলনা করা যায় না। ভাষা আন্দোলন থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কর্মীরা যে পরিমাণ রক্ত দিয়েছেন, পৃথিবীর আর কোনো দল এমন রক্ত দেয়নি ও এতো ত্যাগ স্বীকার করেনি। আওয়ামী লীগ পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ। দেশের প্রতিটি আন্দোলনে যেমন আওয়ামী লীগের অবদান রয়েছে, তেমনি টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার রেকর্ড কেবলমাত্র এই দলেরই। আওয়ামী লীগ এখন বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল।
তাই তিনি ব্রাম্মণবাড়িয়া-২ ( সরাইল – আশুগঞ্জ) আসনে নির্বাচনে নৌকাকে বিজয় করে এলাকাবাসীর সেবা করার সুযোগ দানে সকলের কাছে দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করছেন।
[…] […]