বুদ্ধিজীবী সরণ গাঁথা। বাংলাদেশ প্রতিবছর পালিত একটি বিশেষ দিবস হল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। প্রতিবছর বাংলাদেশে ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়।
১৯৭১ সালে বছরব্যাপী পাকিস্তান সেনাবাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাযোগ্য সংঘটিত করানো হয়। পরিকল্পিতভাবে ১৪ ই ডিসেম্বর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বুদ্ধিজীবী হত্যা করা হয়েছিল। তার উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এই দিনটিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ঘোষণা করেন। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী যারা দৈহিক শ্রমের বদলে মানসিক শ্রম বা বুদ্ধিভিত্তিক শ্রম দেন তারাই বুদ্ধিজীবী।
“বুদ্ধিজীবী অর্থ লেখক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পী, কণ্ঠশিল্পী, সকল পর্যায়ের শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, রাজনীতিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী, চলচ্চিত্র ও নাটকের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সমাজসেবী ও সাংস্কৃতিসেবী।” বাংলা একাডেমি প্রকাশিত শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষ গ্রন্থের বুদ্ধিজীবীদের এই সংজ্ঞা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: র্শাশায় চায়না কমলা লেবু চাষে সফল ইউসুফ
চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে থাকায় স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত “শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষ গ্রন্থ” (১৯৯৪) থেকে প্রকাশিত হয় ২৩২ জন বুদ্ধিজীবী নিহত হয়েছে। তবে তালিকায় অসম্পূর্ণতার কথাও একই গ্রন্থে স্বীকার করা হয়। পরে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে প্রকাশিত বুদ্ধিজীবী দিবসে সংকলন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও আন্তর্জাতিক নিউজ ম্যাগাজিন “নিউজ উইক” এর সাংবাদিক নিকোলাস মিলিনের লেখা থেকে জানানো হয় বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা মোট ১ হাজার ৭০ জন।
[…] বুদ্ধিজীবী সরণ গাঁথা […]