বগুড়া-৪ আসন থেকে এমপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়বেন হিরো আলম। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) সংসদীয় আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য মো. মোশারফ হোসেনের পদত্যাগের পর থেকেই ওই এলাকায় উপনির্বাচনের হাওয়া লেগেছে। এই আসন থেকে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে নির্বাচন করতে চান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
এ বিষয়ে হিরো আলম গণমাধ্যমকে জানান, তিনি বগুড়া-৪ আসন থেকে উপনির্বাচনে প্রার্থী হবেন। তিনি প্রথমে জাপা থেকে মনোনয়ন চাইবেন। না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন। এই নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে আশাবাদী।
হিরো আলম আরো বলেন, একই আসনে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন। তিনি জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তাই জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীক চেয়ে দলের মনোনয়ন কিনবেন। সংসদের বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ এবং সংসদের বিরোধী দলের উপনেতা জি এম কাদেরের সঙ্গে দেখাও করবেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অপহরণের ৪ বছর পর শিশু উদ্ধার, অপহরণকারী আটক
জানা যায়, বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলে বগুড়ার দু’টি আসন শূন্য হয়। আসন দু’টি হলো বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৪ আসন। এরমধ্যে বগুড়া-৪ আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য মো. মোশারফ হোসেনের পদত্যাগের পরপরই এই আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা জানান হিরো আলম। এই আসন থেকে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে নির্বাচন করতে চান হিরো আলম।
হিরো আলম বলেন, আমি নির্বাচনে জয়ী হলে, প্রথমে আমার এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের বর্তমান চাহিদা পূরণ করবো, তারপর এলাকায় উন্নয়ন মূলক অন্যান্য কাজ গুলো ধরবো। সবাই তো বড় বড় কাজের আশ্বাস দেয়। আমার বড় কাজ আগে নয়, ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ।
এর আগে, ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রায় ৬০০ ভোট পেয়েছিলেন আলম। আর বিএনপির প্রার্থী মোশারফ হোসেন পেয়েছিলেন ১ লাখ ২৮ হাজার ভোট। এছাড়া ১৪ দলের শরীক জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন পেয়েছিলেন ৮৬ হাজার ভোট। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এই শূন্য আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ৫ জানুয়ারি, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৮ জানুয়ারি এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৫ জানুয়ারী।
[…] […]