পুলিশ পরিচয়ে প্রতারক মনিরের ব্যাপক প্রতারনা। যশোর সদর উপজেলার ঘুনী গ্রামের সেই প্রতারক মনিরুল ইসলাম এবার ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মাল ও টাকা নিয়েছে। যশোর টু নড়াইল সড়কের রুস্তমপুর স’মিলের পাশ থেকে জয়েন্ট ফিডের ডিলার নুর ইসলামের কাছ থেকে মালামাল নিয়েছে মনির। মাল এর মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
জানা গেছে, মাল নেওয়ার সময় ঘুনী শাখারীপাড়ার মৃত আমিন মিয়ার পুত্র মনিরুল ইসলাম (৩৮) নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। এরপর সে
মাল নিয়ে বিপরীতে নিজ স্বাক্ষরিত একটি চেক দেয়। তবে চেকে উল্লেখিত একাউন্টে কোন টাকা নেই। এরপর মনির একটি তারিখ দিয়েছে টাকা পরিশোধের। সেই তারিখে টাকা দেয়নি প্রতারক মনিরুল ইসলাম। এখন নতুন তারিখের অপেক্ষায় রয়েছেন নুর ইসলাম।
জানা গেছে, প্রতারক মনির সর্বত্র নিজেকে পুলিশের এস আই, কখনো ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। এরপর স্বার্থ হাসিল করে সে টাকা বা সম্পদ
লুন্ঠন করে। খোজ খবর নিতেই জানা যায়, ঘুনী শাখারীপাড়ায় আরো একজন মনিরুল ইসলাম আছেন। তিনি বর্তমানে মোংলা পোর্ট থানার
ওসি। তার পুরো নাম মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। তিনি ঐ গ্রামের মোজাম্মেল আকন্দ মিয়ার পুত্র।
বর্তমানে তিনি মোংলা পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে প্রতারক মনির সম্পর্কে তার কোন ধারনাই নেই। তার নাম ভাঙ্গিয়ে এসব যে করে বেড়াচ্ছে সেটা দেখারও সময় নেই তার। কেননা তিনি প্রশাসনিক কাজে বেজায় ব্যস্ত থাকেন সদা। এর আগে এস আই পরিচয়ে ঘুনী শাখারীপাড়ার প্রতারক মনীর একই গ্রামের আবু জাফরের কন্যা আসমা কে বিয়ে করে তা অস্বীকার করে।
পরে পত্র পত্রিকায় লেখালেখি হলে অক্টোবর মাসে সে একটি কাবিননামা তার হাতে ধরিয়ে দেয়। সে বলে অভয়নগর নওয়াপাড়ায় তার একটি বাড়ি
আছে। তবে সেটিও জলজ্যান্ত মিথ্যা কেননা সে নওয়াপাড়া টু মনিরামপুর রোডে জগার মোড়ে জনৈক শফিকুল ইসলামের বাড়ির নীচতলায় ভাড়া থাকে। একটি সার কীটনাশকের অষুধের দোকানের পাশ দিয়ে সেখানে যাতায়াত করতে হয়।
স্থানীয়রা জানায়, এর আগেও মনির চাকুরি দেওয়ার নামে ঘুনী মাঠপাড়ার আনছার, মোসলেমের পুত্র আক্কাছসহ কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। চাকুরি বা টাকা কোনটাই সে ফেরত দিচ্ছেনা। এছাড়া ব্যাংক ঋন করিয়ে দেওয়ার নামে রফিকুল ও ডালিমের কাছ থেকে সে কয়েক লক্ষ টকা নিয়েছে এই প্রতারক মনির। এছাড়া রাজমিস্ত্রী জাহিদুল, হত দরিদ্র জিনু তার কাছে টাকা পাওনা রয়েছে। রুপদিয়ার বাজারে চারজন কয়েক লক্ষ টাকা পাওনা তার কাছে। এর মধ্যে রডের দোকানদার পাবে লক্ষাধিক টাকা। বিদ্যু সরবরাহ কেন্দ্রিক ব্যবসায়িরা পাবেন এমন বেশ মোটা অংকের টাকা।
আরও পড়ুন : দেশবাসীর প্রতি স্বেচ্ছায় রক্ত ও মরণোত্তর চক্ষুদানে এগিয়ে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
এদিকে প্রতারক মনির কে নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে টার্গেট করে
আসমা কে গালিগালাজ করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের নামে মানহানি মামলার হুমকি দেন। আদতে মনিরের প্রতারনা, অর্থ কেলেঙ্কারী, চাকুরি প্রদানের নামে অর্থ আত্মসাৎ, খুনের অভিযোগ, নারী কেলেঙ্কারী, মাদক বেচাকেনা, জঙ্গী কানেকশনসহ বিভিন্ন ফিরিস্তি রয়েছে যা আপাদ মস্তক অপরাধে মোড়া। তার মামলা, জিডি, দূর্নীতির স্বাক্ষ্য প্রমান থাকার পরেও তার এই হুমকিতে এলাকায় হাস্যরসের সৃস্টি হয়েছে। প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন কোন কিছু না করেও সে মোটরবাইকে দিব্যি রাজার হালে ঘুরছে। এখন সে রাতের আধারে পালিয়ে যাওয়ার ছক করে আছে।
[…] […]