ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) ৫ চিকিৎসকসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। বহুল আলোচিত পর্দা কেলেঙ্কারি ও হাসপাতালের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ক্রয়ে অনিয়মের ঘটনায় এ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
চিকিৎসকরা হলেন সাবেক সহযোগী অধ্যাপক (শিশু বিভাগ) বরুণ কান্তি বিশ্বাস, সাবেক সিনিয়র কনসালট্যান্ট (চক্ষু বিভাগ) এনামুল হক, সাবেক অধ্যাপক (মেডিসিন) শেখ আবদুল ফাত্তাহ, সাবেক সহযোগী অধ্যাপক (সার্জারি) মো. মিজানুর রহমান, সাবেক আরএমও মো. শফিক উল্লাহ। অন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন একই হাসপাতালের সমাজসেবা অফিসার ওমর ফারুক, স্টোরকিপার আবদুর রাজ্জাক, ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার আলমগীর ফকির, ফরিদপুর গণপূর্ত উপবিভাগের সাবেক উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) আবদুস সাত্তার, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন, রাজধানীর মহাখালীর নিমিউ অ্যান্ড টিসির সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) মিয়া মোর্তজা হোসাইন।
তবে এই মামলার অভিযোগপত্র থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (দন্ত বিভাগ) গণপতি বিশ্বাস শুভ, সাবেক জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) মীনাক্ষী চাকমা এবং সাবেক প্যাথলজিস্ট ডা. এএইচএম নুরুল ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ৯ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনার মো. জহুরুল হকের (তদন্ত) স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ফরিদপুর দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. রেজাউল করিম।
২০১৯ সালের ২০ আগস্ট ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা তদন্ত করতে দুদককে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর পর্দা ও সরঞ্জামাদি কেনাকাটায় ১০ কোটি টাকা দুর্নীতির ঘটনায় মামলা করে দুদক।
আপনার মতামত লিখুন :