নারীদের কাছ থেকে কৌশলে স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক দম্পতি আটক। স্বামী-স্ত্রী মিলে প্রতারণা করে আসছিলেন। মাঝবয়সী ও বৃদ্ধ নারীদের লক্ষ্য করে কৌশলে তাঁদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন স্বর্ণালংকার। আবার কখনো নকল স্বর্ণের বারের বিনিময়ে নারীদের স্বর্ণালংকার নিয়ে সটকে পড়েন এ দম্পতি। এভাবে তিন মাসে রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ এলাকার প্রায় ১৬ নারী প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
অবশেষে প্রতারণার শিকার এক নারী আজ সোমবার রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় ওই দম্পতি আটক করেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে দুজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়। আটক দুজন হলেন নওগাঁ জেলার খাস নওগাঁ এলাকার তানিয়া (২৬) ও তাঁর স্বামী রাশেদুল ইসলাম (৩৫)।
ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন বলেন, ওই প্রতারক দম্পতিকে লোকজন ধরে পৌরসভায় দিয়েছিলেন। তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন নারী এ দম্পতির প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদা ইয়াসমিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রতারক দম্পতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। প্রতারণার শিকার রবিজান বেওয়া বলেন, তাঁর স্বামীর দেওয়া কানের দুল দুই মাস আগে তাঁকে অচেতন করে নিয়ে গেছেন ওই নারী। ভ্যানে উঠে ভাব জমিয়ে নাকে রুমাল ধরে অচেতন করে সব গয়না নিয়ে যান।
আরও পড়ুনঃ গাজীপুরে স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় স্বামী আটক
ভুক্তভোগী রেহেনা বিবি বলেন, তাঁকে নকল স্বর্ণের বার দেখিয়ে সেটা কয়েক লাখ টাকা দাম বলে জানান তানিয়া। তিনি বিক্রি করতে পারছেন না বলে জানিয়ে এর বিনিময়ে তাঁর গলায় থাকা ১৬ হাজার টাকা দামের চেইন নেন। লোভ সামলাতে না পেরে তিনি চেইনের বিনিময়ে স্বর্ণের বার নিয়েছেন। বাড়িতে গিয়ে তিনি স্বজনদের জানালে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
পুলিশ জানায়, তানিয়া ও রাশেদুল দীর্ঘদিন ধরে ভবানীগঞ্জ বাজার এলাকায় ঘোরাফেরা করতেন। বাজারে আসা বয়স্ক ও মাঝ বয়সী নারীদের অনুসরণ করতেন তাঁরা। যাঁদের সঙ্গে স্বর্ণালংকার থাকত, তাঁদের অনুসরণ করে ভ্যানে বসতেন। ক্ষণিকের মধ্যে তাঁদের সঙ্গে খাতির জমিয়ে অচেতন করে শরীরে থাকা স্বর্ণের গয়না ছিনিয়ে নিয়ে সটকে পড়তেন। আবার অনেককে নকল স্বর্ণের বার দেখিয়ে বিক্রির নামে তাঁদের কাছে থাকা গয়না নিয়ে পালিয়ে যেতেন। এভাবে ৩ মাসে কমপক্ষে ১৬ জন নারী প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
[…] […]