দীর্ঘ ৮ বছর আয়ের বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে নিখোজ মনিরুজ্জামান। আট বছরের আয়ের কোন হদিস নেই। প্রায় অর্ধ কোটি টাকা নিয়ে এক নারী মনিরুজ্জামান ওরফে মনিরুল নামের এক যুবক নিয়ে কোন অজ্ঞাতস্থানে রেখেছে। পিতা মাতা ভাইবোন কারো সাথে যোগাযোগ নেই। টেনশনে পরিবারের সকলেই অস্থির। এখন জীবিত সন্তান ও ভাইকে খুজতে খুজতে হয়রান মনিরুজ্জামানের পিতা মাতা ও ভাইবোন। মনিরুজ্জামান যশোর সদর উপজেলার সতীঘাটা কামালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের জসিম উদ্দীনের পুত্র।
বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত, কোতয়ালী, যশোর এ রানার মা নিলুফা বেগম বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় পুত্রের টাকা আত্মসাতকারী নাটের গুরু সেই নারী জেসমিন, জেসমিনের ভাই রানা, জেসমিনের মা সালেহা বেগম কে আসামি করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৩৬৩/৩৬৫/৩৬৮/৩৪ দ:বি: এ একটি মামলা করেছেন। মনিরুজ্জামানের সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারছে না বাদি। তার আশঙ্কা পুত্রকে কি মেরে জেসমিন গং তার লাশ গুম করেছে হয়তোবা। এছাড়া কোতয়ালি মডেল থানায় পুত্রের সন্ধানের একটি অভিযোাগ করেছেন মনিরুজ্জামানের পিতা জসিম উদ্দীন। এএসআই
নাজমুল সেটির তদন্ত করছেন।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় দীর্ঘ আট বছর রয়েছেন মনিরুজ্জামান। সেখান থেকে প্রতি মাসে এক লাখ টাকা আয় করতেন। এছাড়া লোক পাঠানোর দালালিও করতেন। ঐ বিদেশ থাকা সর্ত্তেও একই এলাকার জেসমিন ও তার পরিবারের টার্গেট হয় সে। এরপর ঐ টাকা ওদের বাড়ি পাঠাতো। জেসমিন তিন সন্তানের মা। বয়স ৪৫ বছর। ইতোপূর্বে তিন তিনটি বিবাহ হয়েছে তার। এখন মনিরুজ্জামান কে টার্গেট করে তার প্রায় ৫০ লাখ টাকা ও তাকেই কোথাও আটকে রেখেছে। এ ধারনা মনিরুজ্জামানের বোন পলি খাতুন ও আসমা, মা নিলুফা বেগম, পিতা জসিম উদ্দীন, মাম বাবু গাজী।মনিরুজ্জামানে পিতা মাতা বোনদের ধারনা জেসমিনের ভাই রানা (৩৫) কে জেরা করলে মনিরুজ্জামান সম্পর্কে সকল খবরা খবর পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: ১১২টি স্বর্ণের বার সহ দুই পাচারকারী আটক
নিখোজ মনিরুলের মা নিলুফা বেগম জানান, আট বছরের আয় থেকে একটি কানাকড়িও আমাদের দেয়নি। অথচ সে প্রতিমাসে সর্বনিন্ম এক লাখ টাকা আয় করতো শুধু বেতন বাবদ। এছাড়া সে লোক মালয়েশিয়া নিয়েও অনেক টাকা আয় করেছে। এখন আমরা তাকে খুজে খুজে কেঁদে কেটে নিরাশ হয়ে পড়েছি। চলতি বছরের গত ২৫ সেপ্টেম্বর সে বাড়ি ফিরেছে। এরপর ৪ অক্টোবর জেসমিনের ভাই রানা তাকে নিয়ে যায় সতীঘাটা স্কুলের সামনে থেকে। এরপর থেকে মনিরুলের আর খোজ মেলেনি।
মনিরুলের বোন পলি খাতুন জানান, তারা বাংলাদেশের সম্ভাব্য সর্বত্র ভাইকে খুজেছে কিন্ত তার হদিস পাওয়া যায়নি। এখন সে বেঁচে আছে কিনা আমরা তাও নিশ্চিত হতে পারছি না। জেসমিন ও তার ভাই রানা তাকে আটকে রেখেছে অথবা মেরে ফেলেছে। আমরা পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে অন্ধকারে ও চিন্তাভাবনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :