চোরমারা দিঘীর উত্তর পাড় আলীগড় মসজিদ লিংক রোড যশোর পৌর কতৃপক্ষের নজর যেখানে যায়না। যশোর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড চোরমারা দিঘীর উত্তর পাড় মহল্লায় লিংক রোডে বাতি নাই, পানি বের হওয়ার ড্রেন নাই। বাড়ি মালিক ও পথচারীরা আল্লার নাম নিয়ে বসবাস করছেন, পথ চলছেন। অন্ধকারে নারী পুরুষ ঠুলাঠুলি হচ্ছে। শুরু থেকেই পৌর কতৃপক্ষের নজর যায়নি ঐ এলাকায়।
এলাকার অন্তত ৮/১০ টি চায়ের দোাকানে প্রতিদিন আলোচনার বিষয় আলী গড় মসজিদের পূর্ব পাশের লিংক রোড এবং মসজিদের পশ্চিম উত্তর পূর্ব পাড়ার বসত বাড়ির খবরা খবর। ঐ এলাকায় অন্তত কয়েকশত ঘরবাড়ি রয়েছে। বাড়ি মালিক ও ভাড়াটিয়া হিসাবে প্রায় হাজার খানেক মানুষ সেখানে বসবাস করে। ড্রেনের অভাবে পানি যেমন বের হয়না। তেমনি সরু রাস্তায় নেই বাতি। দিনে যেমন তেমন রাত হলেই ঘটে যত বিপত্তি।
স্থানীয় বাসিন্দা মহসিন মিয়া জানান, বাড়ি করে বসবাস করছি সেই কবে থেকে। ভোটের আগে সব কাউন্সিলর প্রার্থী এসে বলেছিলেন পাশ করলে রোডে থাকবে বাতি, ড্রেন রাস্তা হবে সুনসান। এখন দেখছি ভোটের পর আর খোজ নেয় না।
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সালাহ উদ্দীন কবীর পিয়াস বলেন, কাউন্সিলর ও পৌরসভায় বার বার রোডের লাইট ও ড্রেন রাস্তা করতে করতে হাপিয়ে উঠেছি। কেন সমস্যার সমাধান হচ্ছেনা তা কারো বোধগম্য হয়না। ওসব বলে কোন কাজ হয়না তাই এখন তাকে বলা ছেড়ে দিয়েছি।
স্থানীয় বসবাসকারী ভূক্তভোগীরা জানান, ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজিবুল আলম। ভোটের আগে তার পক্ষে এলাকার সুধীজনেরা ভোট চাইতে এসেছিল। তাই তাকে ভোট দিয়েছি। এখন রোড লাইট, ড্রেন রাস্তার কথা বললে তারা বলে ‘তুমি পায়ের জুতা খুলে আমাকে মার সেও ভাল তার কাছে ওসব বলতে পারবো না। সে (কাউন্সিলর) আমাদের চেনেনা। ভোটের প্রয়োজন ছিল তাই ভোটের আগে পাশে ছিলাম। ভোট হয়ে যাওয়ার পর তাকে আর চিনতে পারছিনা। ক্ষমা কর ভাই, বলে করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে এটা সেটা খাওয়ায়ে চলে যায়।
আমরা অবাক হয়ে দেখি তিনি (কাউন্সিলর) এলাকার চিহ্নিত টাউট ঠগ জোচ্চোর অস্ত্রবাজ, আর্থিক কেলেঙ্কারীর নায়কদের নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তার সাথে যারা এই এলাকার ২/১ জন থাকে, সকলেই প্রশ্নবিদ্ধ চিহ্নিত টাউট। ঐসব লোকজন কখনো সমাজের উপকারে কোন কাজে আসেনি। উল্টো দেখি ভোটের আগে যারা তার বিরোধী বলয়ে ছিল সেই সব নোংরা লোকজন এখন তার কাছের লোক হয়েছে। ফলে তার কাছ থেকে আর সামাজিক উন্নয়নের আশা করিনা। রাস্তার লাইট, ড্রেন রাস্তার সংস্কার বা উন্নয়ন কাজের আশা আর করিনা।
আরও পড়ুন :চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে রেড অ্যার্লাট জারি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সমাজ পতি বলেন, ভোটের আগে সকলে মিলেই ভোট দিয়েছিলাম। শুনেছিলাম ছেলেটা ভাল। এখন তাকে আর খুজে পায়না। যারা তাকে আমাদের কাছে এনেছিল তাদের বললে বলে আমাদের কোন চারা বাটি নাই, আপনাকে কিভাবে চারা-পানি দেবো। এখন তিনি আমূল বদলেছেন।
তবে এসব অভিযোগ নিয়ে ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কোন মতামত পাওয়া যায়নি। তার সাথের একজন জানান, প্রধানমন্ত্রী আসবে তাই কাউন্সিলর সাহেব ব্যস্ত। ২৪ তারিখের পর ফোন করতে পারেন।
[…] চোরমারা দিঘীর উত্তর পাড় আলীগড় মসজিদ ল… […]