জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ময়ূরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহাজাহান। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়েছেন শিক্ষার আলো। সেই ছাত্রদের কেউ এখন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কেউ জনপ্রতিনিধি, আবার কেউবা দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী।
তাই প্রিয় শিক্ষকের চাকরি জীবনের শেষ কর্মদিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে ভোলেননি তারা। আজ ছিল তার চাকরি জীবনের শেষ কর্মদিবস। বিশেষ এ দিনটি স্মরণীয় করে রেখেছেন তার সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা।
সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে শিক্ষক মো. শাহাজাহানকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। ঘোড়ার গাড়ির আগে পিছে মোটরসাইকেলে ছিলেন শিক্ষকরা। গাড়িতে ওঠার সময় বিদায়ী প্রধান শিক্ষককে ফুল ছিটিয়ে ও ফুলের মালা পরিয়ে বিদায় জানানো হয়।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এমন আয়োজনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে শিক্ষক শাহাজাহান। বিদয়ী শিক্ষক শাহাজাহান তার বক্তব্যে বলেন, ৩৫ বছর পর অবসরে যাচ্ছি। এসময় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করানোসহ বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আবার উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতিও হয়েছি। সবাই আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন, তাতে আমি আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, আমি চাই, শিক্ষর্থীরা যেন ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করতে পারে। সমাজের জন্য, দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে পারে। এ ব্যাপারে তারা যেন সর্বদা সজাগ থাকে। বিদয়ী অনুষ্ঠানে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য, নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিদ্যালয়ের সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক আবু।
আরও পড়ুনঃ সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি জয়পুরহাটে
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু বক্কর লিটন, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, শিক্ষক মফিজুল ইসলাম, অভিভাবক সদস্য আ ক ম মফিজুল ইসলাম ও মিয়া মোহাম্মদ হারেছ প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :