গরম হাওয়ায় দিশেহারা মানুষ। তাপমাত্রা যায় হোক গরম হাওয়ায় দিশেহারা নাগরিক। যশোরের সর্বত্র এ কারনে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। শুধু মানুষই নয়, গরম হাওয়ায় ঝরে যাচ্ছে আম, লিচু, কাঁঠালের মুচি। দিনমজুর, রিক্সাওয়ালা ও খেটে খাওয়া মানুষ এ কারনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ি ১০ এপ্রিল সোমবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রী। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২ পয়েন্ট ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এদিন বাতাসের আদ্রতা ছিল ২৮% (শতাংশ)। তবে যশোরে ঝড় বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। খুলনা বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র খুলনা জেলাতেই ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে ঠিক কোথায় কোথায় ঝড় বৃষ্টি হতে পারে তার কোন পরিসংখ্যান দেওয়া হয়নি।
এদিকে ভ্যাপসা গরম আবহাওয়ায় নাগরিক নাভিশ্বাস উঠেছে। সোমবার রিক্সাচালকদের বিভিন্ন স্থানে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে।
তারা এসময় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, গরমে বেঁচে থাকাটাই যেন দায়। গরমে দিশেহারা বোধ ব্যক্ত করেছেন রাজমিস্ত্রী ও দিনমজুররা। তবে অনেকেই বলেছেন, যশোরের মানুষ ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ও অভ্যস্ত। তবে এবার তাপমাত্রার সাথে যোগ হয়েছে গরম হাওয়া। এতেই মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ‘নাইট কুইনে’ মজলে খোয়াবে মোবাইল, মানিব্যাগ ও সম্মান
কাঠমিস্ত্রী সহকারী আব্দুর রশিদ (৬১) বলেন, রোযার মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে, তবে গরম হাওয়ায় কষ্ট বেশি। মানুষজন ঘরে বাইরে সর্বত্র নাজেহাল হচ্ছে আবহাওয়ায়। কোথাও তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না।
ভ্যান চালক লস্কর (৫৫) বলেন, গরমে বাইরে পথ চলতে ও ভ্যান চালাতে প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে।
[…] গরম হাওয়ায় দিশেহারা মানুষ […]