কেরাণীগঞ্জে ইনজামূল খানের মৃত্যু” হত্যা নাকি আত্মহত্যা , দিশেহারা পরিবার। সন্তান হারিয়ে দিশেহারা হয়েছেন ইনজামুল খানের মা নাছিমা বেগম। মৃত্যুর দুই মাস পার হলেও ছেলে মৃত্যুর কারণ জানতে পারেননি। অন্তত ছেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে থানায় ছুটছেন বাবা মা। তাদের ছেলে আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন পরিবার। নিহতের মা নাছিমা বেগম বলেন,আমার ছেলেকে তারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
গত ১০শে অক্টোবর ২০২২ ইং রাতে দক্ষিণ কেরাণীগন্জ থানার অধীনে মদিনা টাওয়ারের পিছনে সাউন্ড বক্স কারখানার পাশে বাশের আড়ার সাথে গলায় রশি দেওয়া অবস্থায় ইনজামুল খানের লাশ পাওয়া যায় এবং কেরানীগঞ্জ থানার এস আই মমিনুল হক লাশ উদ্ধার করে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় চার জনকে আসামী করে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়।যাহার মামলা নং-৫৩৫/২২ ইনজামূল খান দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলার চরাইল গ্রামের ইব্রাহিম খানের ছেলে। ইনজামূল খানের বাবা ইব্রাহিম খান বলেন, তার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে আছি। দুই মাস পার হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনিও তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন।
ইনজামৃল খান হত্যাকান্ডে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন সহ হত্যাকারিদের আড়াল করার কাজে জড়িত দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক এসআই মমিনুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পরিবার।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ১০টি স্বর্ণের বারসহ নারী পাচারকারী আটক
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,গত তিন’বছর পূর্বে কেরাণীগন্জ উপজেলার মদিনানগর গ্রামের মোঃ টলিম সিকদারের কণ্যা সাথী আক্তার(২১) এর সাথে একই উপজেলার চরাইল গ্রামের ইব্রাহিম খানের বড় ছেলে ইনজামূল খানের(২৪) বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই তাদের সংসারে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এরই মধ্যে ২০২০ সালে সাথী আকতারের গর্ভে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়।
দক্ষিণ কেরাণীগন্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ইনজামূল খানের মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তার পরিবারের অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
[…] […]