কমলাপুরের লোকাল ট্রেনে গণধর্ষণের শিকার কিশোরী। রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের একটি লোকাল ট্রেনে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাতে ১৭ বছরের ওই কিশোরী নেত্রকোনা থেকে ট্রেনে কমলাপুরে নামার পর কয়েকজন তরুণ একটি লোকাল ট্রেনের ভেতরে তাকে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলো— সুমন (২১), নাইম (২৫), নাজমুল (২৫), আনোয়ার (২০) ও রোমান প্রকাশ কালু (২২)। এখনও মূল অভিযুক্ত ইমরান পলাতক আছে।
ঢাকা রেলওয়ে কমলাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিয়াজ মাহমুদ জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে রাগ করে গতকাল শুক্রবার বিকেলে হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে রাতে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে নামে। সেখানে ৪/৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বসে থাকা অবস্থায় পানি বিক্রেতা ইমরান নামে এক যুবকের সঙ্গে তার কথা হয়। সে ওই কিশোরীকে বিভিন্ন কথা বলে প্ল্যাটফর্মের একটি বেঞ্চে শুয়ে থাকতে বলে এবং তাকে কেউ কিছু বললে ইমরানের পরিচয় জানাতে বলে।
এরপর রাত বেশি হয়ে গেলে তখন তাকে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে তুরাগ কমিউনিটি লোকাল ট্রেনের বগিতে শুয়ে থাকতে বলে একপাশের দরজা আটকে দেয় ইমরান। এরপর অপর পাশের একটি দরজা দিয়ে সে ও তার আরও পাঁচ সঙ্গী মিলে তাকে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুনঃ অশ্রুর সঙ্গে মা-ছেলেকে শেষবিদায়
এসআই জানান, রাত ১টার দিকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যকে সেখানে দিয়ে যাতায়াত করতে দেখে তারা ভয়ে পালিয়ে যায়। তখন নিরাপত্তাকর্মীর সন্দেহ হলে তিনি উঁকি দিয়ে রেলের বগির ভেতর ওই কিশোরীকে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর ওই নিরাপত্তাকর্মী থানায় খবর দিলে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, রাতেই ওই কিশোরীর মাধ্যমে স্টেশন এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় ইমরান নামে অভিযুক্ত যুবক এখনও পলাতক রয়েছে। ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস জানান, ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
[…] […]
[…] আরও পড়ুনঃ কমলাপুরের লোকাল ট্রেনে গণধর্ষণের শিক… […]
[…] আরও পড়ুন: কমলাপুরের লোকাল ট্রেনে গণধর্ষণের শিক… […]