ইফাদ সিকিউরিটি গার্ড ব্ল্যাকমেইল ৫০০০০ টাকা হাতিয়েছে মুড়লির অপচক্র। ব্ল্যাকমেইলিং ফাঁদে ফেলে যশোর শংকরপুর সন্নাসী দীঘিরপাড় এলাকার ইফাদ কোম্পানির দুই সিকিউরিটি গার্ডের কাছ থেকে ৫০০০০ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় তুমুল হৈচৈ শুরু হয়েছে। এছাড়া চক্রটি আরো ২৫০০০ টাকার জন্য এক সিকিউরিটি গার্ডের পিতা ও ভাইকে চাপ দিচ্ছে। ওই টাকা দেয়া না হলে হালের গরু খুলে আনবে বলেও হুমকি দিয়েছে ঐ চক্রের সদস্যরা। ভুক্তভোগীরা এ ঘটনায় মুড়লির ওই চক্রের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দারস্থ হচ্ছে।
শংকরপুর, মুড়লি ও সন্ন্যাসী দীঘিরপাড় এলাকার কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, সন্নাসী দীঘিরপাড় এলাকার চাকলাদার পাম্পের পাশের ইফাদ কোম্পানির শ্রমিকেরা গত শুক্রবার এক পিকনিকের আয়োজন করে। বিকেলে খাওয়া দাওয়া শেষে পিকনিকের বেচে যাওয়া কিছু কাঠ ও খাবার পাশের এক পরিচিত বাড়িতে দিয়ে আসে।
এ ঘটনাকে পুঁজি করে মুড়লির একটি চিহ্নিত চক্র ওই দুই সিকিউরিটি গার্ড যুবককে জিম্মি করতে থাকে। যে বাড়িতে খাবার ও কাঠ দিয়ে এসেছে সেই
বাড়ির এক নারীর সাথে তাদের অবৈধ সম্পর্ক প্রচার করে বাক-বিতন্ডা দিয়ে অপতৎপরতা শুরু করে। ওই বাড়ির কারো কোনো অভিযোগ না থাকলেও
পায়ে পা বাঁধিয়ে গোলযোগ সৃষ্টি করে ওই দুই যুবককে মারপিট করে মুড়লির চিহ্নিত চক্রটি। এরপর তাদের এক ডেরায় নিয়ে ডেকে আনে মোস্তাকিনের পিতা কচুয়ার আলমকে। এরপর পিতা পুত্রকে আটকে রাখে। পিতার সামনে পুত্রকে মারধোর করে।
এছাড়া পিতা আলমকে হুমকি দিয়ে দাবি করেছে এক লাখ টাকা। তাদের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে তিন দফায় আদায় করেছে ৫০০০০ টাকা। বাকি আরো ২৫০০০ টাকা দেয়ার শর্ত দিয়ে ওই দিন তাদের ছেড়ে দেয় চক্রটি। এরপর আরো ২৫ হাজার টাকা রোববার দিতে হবে বলে সময় বেধে দেয়।
গত রোববার ওই টাকার জন্য মোস্তাকিনের পিতা আলম ও তার খালাতো ভাই রুপদিয়ার টিটোকে বার বার ফোন দেয়া হয়। টাকা না দিলে কচুয়ার মোস্তকিনদের বাড়ির গরু খুলে আনবে বলেও হুমকি দিয়েছে তারা। ভয়ে ওই পরিবারটি কাউকে কিছু বলতে পারছে না। মুড়লির চক্রটি তাদের হুমকি দিয়েছে, তারা বহু মামলার আসামি। থানা পুলিশ করে কোনো লাভ নেই। দাবিকৃত টাকা দিতেই হবে, নইলে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: চোর ছেড়ে দিয়ে এতিম ভ্যনচালককে চালান
১৬ অক্টোবর দুপুরে ভুক্তভোগী মোস্তাকিনের স্বজনেরা যশোরে একটি পত্রিকা দপ্তরে এসে কানায় ভেঙে পড়েন। তারা জানান, মামলা করতে গেলে
তাদেরকে আবার অপহরণ করে মারপিট করা হতে পারে। এ ব্যাপারে তারা দ্রুত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তারা হত
দরিদ্র মানুষ, ধার দেনা ও সুদে টাকা নিয়ে মোট ৫০০০০ টাকা তুলে দিয়েছেন মুড়লির ওই চক্রের হাতে। ওই টাকা ফেরতের দাবিসহ জড়িতদের
কঠোর শাস্তি চেয়েছেন ভুক্তভোগী মোস্তাকিনের স্বজনেরা।
[…] […]