ইংল্যান্ডের বাটলার-হেলসের ব্যাটিং ঝড়ে হারলো অস্ট্রেলিয়া। জশ বাটলার ও অ্যালেক্স হেলসের ব্যাটিং ঝড়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করলো ইংল্যান্ড। আজ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ড ৮ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
উদ্বোধনী জুটিতে ৬৮ বলে রেকর্ড ১৩২ রান তুলেন বাটলার ও হেলস। তাতে ৬ উইকেটে ২০৮ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। ২০৯ রানের টার্গেটের জবাবটা ভালোভাবে দিলেও, শেষে এসে খেই হারায় অস্ট্রেলিয়া। ৯ উইকেটে ২০০ রান করে অসিরা ম্যাচ হারলে, ডেভিড ওয়ার্নারের ৪৪ বলে ৭৩ রান বিফলে যায়।
পার্থে টস জিতে প্রথমে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। অ্যালেক্স হেলসকে নিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংস শুরু করেন ইনজুরি থেকে সুস্থ হওয়া অধিনায়ক জশ বাটলার। গত আগস্টের পর ২২ গজে ফিরেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন বাটলার। ইনিংসের প্রথম ওভারের পুরোটা খেলে ৪টি চারে ১৬ রান তুলের তিনি।
বাটলারের সাথে তাল মিলিয়ে পাওয়া-প্লেতে দলকে ৫৮ রান এনে দেন হেলস। তখন বাটলার ৩২ ও হেলস ২৫ রানে ছিলেন। দু’জনই ১৮ বল করে খেলেন। ব্যক্তিগত ৩০ রানে জীবন পেয়ে নবম ওভারের চতুর্থ বলে বাউন্ডারিতে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৬তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাটলার। এজন্য ২৫ বল খেলেন তিনি। ঐ ওভারেই ইংল্যান্ডের রান ১শ স্পর্শ করে।
আর ১০ম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারিতে টি-টোয়েন্টিতে দশম অর্ধশতকের স্বাদ নেন হেলস। তিনি খেলেছেন ২৯ বল। অবশেষে ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাটলারকে শিকার করে ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী ভাঙ্গেন অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়াম পেসার নাথান এলিস। ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩২ বলে ৬৮ রান করেন বাটলার। বাটলার-হেলস জুটি ৬৮ বলে ১৩২ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটি। আর সব মিলিয়ে অসিদের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।
১৬তম ওভারে বিদায় নেন হেলস। পেসার কেন রিচার্ডসনের শিকার হন তিনি। ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫১ বলে ৮৪ রান তুলেন হেলস। পরের দিকের ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে না পারলে, বাটলার-হেলসের ব্যাটিং ঝড়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রান ইংল্যান্ডের। অস্ট্রেলিয়ার এলিস ২০ রানে ৩ উইকেট নেন।
২০৯ রানের বিশাল টার্গেটে শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ১ রানে আউট হন ওপেনার ক্যামেরুন গ্রিন। দ্বিতীয় উইকেটে মিচেল মার্শের সাথে ৪৪ বলে ৭১ রান তুলেন অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ে রাখেন ওয়ার্নার। মার্শ ৩৬ রানে থামলেও, ২৮ বলে টি-টোয়েন্টিতে ২৪তম হাফ-সেঞ্চুরিতে পা দেন ওয়ার্নার।
মাঝে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ১২ রানে আউট হলে, চতুর্থ উইকেটে ২৪ বলে ৫৩ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের পথে রাখেন মার্কাস স্টয়নিস ও ওয়ার্নার। ১৫ বল খেলে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন স্টয়নিস। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৫ রান করে ফিরেন তিনি।
১৫তম ওভারে স্টয়নিসের ফেরার ২ বল পর বিদায় নেন টিম ডেভিডও। তবে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের আশা ধরে রাখেন ওয়ার্নার।
আরও পড়ুনঃ পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু
১৭তম ওভারে ওয়ার্নাকে শিকার করে ইংল্যান্ডকে চিন্তা মুক্ত করেন পেসার মার্ক উড। ৪৪ বল খেলে ৭৩ রান করেন তিনি। ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি।
ওয়ার্নার যখন ফিরেন, তখন ৩ ওভারে ৩৬ রান দরকার ছিলো অস্ট্রেলিয়ার। পরের ২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২০ রান পায় অসিরা। শেষ ওভারে জিততে ১৬ রানের সমীকরন দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়ার। উইকেটে ছিলেন ম্যাথু ওয়েড। শেষ ওভারে ওয়েড ও এলিসকে তুলে নিয়ে মাত্র ৭ রান দেন স্যাম কারান। ফলে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ২০০ রান করে ম্যাচ হারে অস্ট্রেলিয়া। ওয়েড ২১ রান করেন। ইংল্যান্ডের উড ৩ উইকেট নেন।
আগামী ১২ অক্টোবর সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলবে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড।
[…] […]
[…] আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের বাটলার-হেলসের ব্যাটিং ঝড়… […]