আন্দোলনে ইরানি শাসকদের অবস্থান জাতিদের অনুভূতিকে আরও আঘাত করবে জানিয়েছেন শিরিন এবাদি। ইরানের সাম্প্রতিক আন্দোলনকে দেশটির বর্তমান শাসনব্যবস্থার পতনের শুরু বলে বর্ণনা করেছেন নোবেলজয়ী আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী শিরিন এবাদি।
বর্তমানে নির্বাসনে থাকা শিরিন ইরানের শাসকগোষ্ঠীর বড় সমালোচক। শুক্রবার তিনি বলেন, কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানে যে ‘বিপ্লব’ দেখা গেছে, তা শেষ পর্যন্ত সরকার পতন করেই থামবে। এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ।
খবরে বলা হয়, ২০০৩ সালে মানবাধিকারের পক্ষে সাহসী অবস্থানের জন্য শান্তিতে নোবেল পান শিরিন এবাদি। বর্তমানে বৃটেনের রাজধানী লন্ডনে নির্বাসিত জীবন পাড় করছেন ৭৫ বছর বয়স্ক এই মানবাধিকার কর্মী। তিনি ইরানের চলমান আন্দোলনকে দেশটির শাসকগোষ্ঠীর জন্য সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন। শিরিন বলেন, এই বিপ্লবী প্রক্রিয়াটি একটি ট্রেনের মতো যা তার চূড়ান্ত গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থামবে না। লন্ডন থেকে রয়টার্সকে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, বিক্ষোভ এখন শুধুমাত্র ভিন্ন আকার নিয়েছে, কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি।
আরও পড়ুনঃ আসামে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিয়ে করার অপরাধে ১৮ হাজার পুরুষ আটক
শিরিন এবাদি আরও বলেন, আন্দোলন দমনে ইরানি শাসকদের কঠোর অবস্থান ইরানিদের অনুভূতিকে আরও আঘাত করবে। কারণ, তাদের অভিযোগগুলো কেউ শুনছে না, উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই আঘাত নেমে আসছে। ২০১৫ সালের পরমাণু সমঝোতাকে পুনরুজ্জীবিত করতে ইরান যখন আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চলেছে, তখনই দেশটিতে আন্দোলন মাথাচারা দিয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ই সেপ্টেম্বর ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনী মারা যাওয়ার পর থেকে ইরানের শাসকগোষ্ঠী ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :